আরজি কর কাণ্ড নিয়ে মুখ খুললেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘের প্রধান মোহন ভাগবত। সাংগঠনিক কারণে দুদিনের সফরে শনিবার কলকাতায় এসেছিলেন তিনি। বিশিষ্ঠ নাগরিকদের সঙ্গে মত বিনিময়ের একটি অনুষ্ঠানে রবিবার জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে যান তিনি। সেই অনুষ্ঠানে আরএসএস প্রধানের দাবি, "নাগরিকদেরও অনেক বেশি সচেতন হওয়ার প্রয়োজন।"
জোড়াসাঁকোর অনুষ্ঠানে আরজি কর কাণ্ড নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। মোহন ভাগবত জানিয়েছেন, "ভারতীয় সংস্কৃতি চিরকাল মহিলাদের মাতৃশক্তি হিসেবে বন্দনা করেছে। যখন সীতাহরণ হয়েছে, তখন রামায়ণ হয়েছে। দ্রৌপদীর বস্ত্রহরণ হওয়ায় মহাভারত হয়েছে। সেই ভারতে কী করে এমন ঘটনা ঘটে।" পাশাপাশি আরএসএস প্রধান জানান, যারা এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দায়িত্ব সরকার। তাঁর মতে, মোকাবিলায় সরকার যে পদক্ষেপ নেবে, তাতে পূর্ণ সমর্থন থাকবে।
অন্য দিকে স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে তদন্ত করছে ইডি। বিজেপির পুরুলিয়ার সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো দাবি করেন, সন্দীপ ঘোষের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীকেও তদন্তের আওতায় আনতে হবে। এই প্রসঙ্গে বিজেপিকে আক্রমণ করেছেন কুণাল ঘোষ। তাঁর দাবি, বিজেপিতে রাজ্য সভাপতি হওয়ার প্রতিযোগিতা চলছে। তাই এসব বলে প্রচারের থাকতে চাইছেন। নির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণ থাকলে ইডির কাছে গিয়ে জমা দেওয়ার দাবি করেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।
এদিকে আরজি কর কাণ্ডে বিরাট কর্মসূচির ডাক দিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। দুর্গাপুজোর সময় বিজেপি নেতা-কর্মীদের ছুটি বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পুলিস কমিশনার বিনীত গোয়েল-সহ তিন পদস্থ পুলিশ কর্তাকে গ্রেফতারের দাবিও তোলেন তিনি। পুজোর সময় বিজেপি নেতা-কর্মীদের কাজ হবে, দর্শনার্থীদের কাছে মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে স্বাক্ষর সংগ্রহ। শুধু তাই নয়, তৃণমূল নেতাদের নারীবিরোধী মন্তব্যের রেকর্ডিংও বাজানোর নির্দেশ বিরোধী দলনেতার। আরজি কর কাণ্ডে তৃণমূলের হয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন কাকলি ঘোষ দস্তিদার, উদয়ন গুহরা।