ঘূর্ণিঝড় দানা এল। আছড়ে পড়ল ওড়িশা উপকূলে। কিন্তু বাংলার উপর তেমন কোনও প্রভাব ফেলতে পারল না। শুক্রবার এমনটাই দাবি করল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। যা স্বস্তি রাজ্যের কাছে। নবান্ন জানিয়েছে, এই ঘূর্ণিঝড়ের ফলে উপকূলের জেলাগুলোতে বড় কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর নেই।
বাহাত্তর ঘণ্টা আগে থেকেই এই ঝড় মোকাবিলায় প্রস্তুত ছিল নবান্ন। পূর্ব মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার উপকূল অঞ্চল আগেই ফাঁকা করে দেওয়া হয়েছিল। এই অবস্থায় এক অন্য রাত দখলের ছবি ধরা পড়ল। ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় নবান্নে রাত জাগলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাতভর তাকিয়ে ছিলেন জায়ান্ট স্ক্রিনে ঘূর্ণিঝড়ের উপগ্রহ চিত্রের দিকে। শুক্রবার সকাল হতে স্বস্তি।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, দানার প্রভাবে শুক্রবার দিনভর ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হবে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই। অতিভারী বৃষ্টি হবে পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায়।
আশঙ্কাকে সত্যি করে বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকেই দিঘায় সমুদ্র অশান্ত হয়ে ওঠে। শুক্রবার সকালে সমুদ্র অনেকটাই শান্ত। মাঝরাত থেকে বৃষ্টি হচ্ছে দিঘা, শঙ্করপুর এবং তাজপুরে। বইছে ঝোড়ো হাওয়া। এখনও পর্যন্ত পূর্ব মেদিনীপুর থেকে বড় কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর আসেনি।
প্রায় একই ছবি দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবন, গোসাবার মধ্যে উপকূলের অঞ্চলগুলিতে। রাজ্যের পাশাপাশি পড়শি ওড়িশা থেকেও এখনও পর্যন্ত বড় কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর নেই। বেশ কিছু অঞ্চলে গাছ ভেঙেছে। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে স্থলভাগে আছড়ে পরার সময় ঝড়ের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১১০ কিলোমিটার। এর জেরে উপকূলের উপরের বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ ঘূর্ণিঝড়ের ল্যান্ডফল প্রক্রিয়া শুরু হয়। তিনি জানিয়েছেন, শেষ ছ ঘণ্টায় ১৫ কিলোমিটার গতি বাড়ায় এই ঘূর্ণিঝড়।