মধ্যরাতের মশাল। আরজি কর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগের ঘটনায় এবার এক অভিনব প্রতিবাদের সাক্ষী থাকল তিলোত্তমা। শুক্রবার বিকেলে ইর্স্টান মেট্রোপলিটন বাইপাস সংলগ্ন হাইল্যান্ড পার্ক থেকে শুরু হয়েছিল এই মশাল মিছিল। ৪২ কিলোমিটার পথ পেরিয়ে শেষ হল উত্তর কলকাতার শ্যামবাজারে। নেতৃত্বে নাগরিক সমাজ।
এর আগে আরজি করের প্রতিবাদের ঘটনায় রাতদখল, ভোরদখলের সাক্ষী ছিল এই শহর। আরজি করের ঘটনা এখন বিচারধীন। সেই ঘটনার ৪২ দিনের মাথায়, ৪২ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করলেন নাগরিক সমাজের সব ধরণের মানুষ। মিছিলে দেখা গেল হুইল চেয়ারে বসেও প্রতিবাদে নামতে। এই রিলে মিছিলে আবার দেখা গিয়েছে আরজি করের ঘটনায় অডিও-কাণ্ডে জামিনে মুক্ত বাম যুবনেতা কলতান দাশগুপ্তের ছবি-সহ ব্যানার। যা নিয়ে ভাগ হয়েছে নাগরিক সমাজ। শুক্রবারের মিছিলের আয়োজক ছিল অনেকগুলি সংগঠন এবং মঞ্চ। জানা গিয়েছে, কলতানের ছবি সম্বলিত ব্যানার ব্যবহার করা নিয়ে আপত্তিও জানায় তাদের অনেকে।
এই পরিস্থিতিতে আজ, শনিবার থেকে ফের আংশিক ভাবে রাজ্যের সব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে কাজে ফিরছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। নির্যাতিতার বিচার চেয়ে শুক্রবার স্বাস্থ্য ভবন থেকে সিজিও পর্যন্ত মিছিল করেন তাঁরা। মিছিল শেষে তাঁরা ফিরে গিয়েছেন নিজ নিজ হাসপাতালে। তবে, আন্দোলন জিইয়ে রাখার বার্তা দিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা।
২৭ সেপ্টেম্বর, সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মামলার পরবর্তী শুনানি। তার আগে রাজ্যের দেওয়া ১০ দফা নির্দেশিকা রাজ্যের প্রতিটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চালুর দাবি করা হয়েছে। জুনিয়র ডাক্তারদের নেতাদের দাবি, সুপ্রিম শুনানির আগে তা কার্যকর না হলে, তাঁর ফের কর্মবিরতির রাস্তায় ফিরবেন। এবং তার দায় নিতে হবে রাজ্য সরকারকে। শুধু হাসপাতালে কাজ নয়, শনিবার থেকেই রাজ্যের বন্যা কবলিত এলাকায় গিয়ে ক্লিনিক করবেন ডাক্তাররা।