দেবীপক্ষ পড়ে গিয়েছে। পুজোর আগে শেষ উইকেন্ড। বৃষ্টি বাধা না হলে শনি ও রবিবার পুজোর বাজারে গড়িয়াহাট, এসপ্ল্যানেড, হাতিবাগানে রেকর্ড ভিড়ের সম্ভাবনা। শুধুই কি মার্কেটিং! উদ্বোধনের পর থেকে শুরু হয়ে গিয়েছে ঠাকুর দেখাও। শ্রীভূমি, এগডালিয়া, চেতলা অগ্রনী, সুরুচি সঙ্ঘ, সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার, কসবা বোসপুকুরের মতো একাধিক পুজোয় ইতিমধ্যেই সন্ধ্যে নামতেই পুজোর ভিড় শুরু হয়ে গিয়েছে। শপিং ব্যাগ হাতেই ভিড় জমাচ্ছেন মানুষ। প্যান্ডেল হপিং, থিমের সামনে দাঁড়িয়ে সেলফি। তারপর সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি পোস্ট করে ক্যাপশান, সবই শুরু হয়ে গিয়েছে। পুজোর আগে এই কয়েকদিন হাওড়া-এসপ্ল্যানেড রুটে শনিবার থেকেই বাড়ানো হল মেট্রো সংখ্যা।
রবিবার ছাড়া হাওড়া এসপ্ল্যানেড রুটে ১১৮টি মেট্রো চালানো হয়। পুজোর আগে শনিবার থেকে বুধবার পর্যন্ত ১৩০টি মেট্রো চলবে। এমনই জানিয়েছে কলকাতা মেট্রো কর্তৃপক্ষ। এসপ্ল্যানেড থেকে হাওড়াগামী প্রথম মেট্রো ছাড়বে সকাল ৭টায়। একই সময় হাওড়া থেকেও প্রথম মেট্রো ছাড়বে। দুই স্টেশনেই শেষ মেট্রো ছাড়বে রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে। রবিবার এসপ্ল্যানেড-হাওড়া রুটে ৪৬টি মেট্রো চলে। পুজোর আগের রবিবার শপিংয়ের জন্য এই লাইনে ভিড় অনেকটাই বাড়তে পারে। তাই ৮২টি মেট্রো চালাবে কর্তৃপক্ষ। তবে দুই লাইনে প্রথম মেট্রো চলবে দুপুর ১টা ৫৫ মিনিট ও দুপুর ২টো থেকে। শেষ মেট্রো ছাড়বে রাত ১০টায়।
শুধু তাই নয়, হাওড়া-এসপ্ল্যানেড রুটে দুটি ট্রেনের ব্যবধানও কমানো হয়েছে। এমনি দিনে ২০ মিনিট ব্যবধানে চলে মেট্রো। এই কয়েকদিন ১২-১৫ মিনিট অন্তরই ট্রেন পাওয়া যায়। বুধবার, ষষ্ঠী পর্যন্ত এই লাইনে এমন পরিষেবা দেবে মেট্রো কর্তৃপক্ষ। গত অগাস্ট মাসে আরজি করের ঘটনার পর রাজ্যজুড়ে চলে আন্দোলন। যার রেশ অনেকটাই পড়েছে পুজোর বাজারে। শেষ মুহূর্তে কিছুটা লাভের মুখ দেখতে পারেন ব্যবসায়ীরা।
এবার পুজোতে মন্ডপ ও প্রতিমা দর্শনে কেমন ভিড় থাকবে! কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গিয়েছে। শুক্রবার পর্যন্ত তাও কিছুটা বাধা ছিল। তবে অধিকাংশ পুজোর উদ্বোধন হয়ে গিয়েছে। তাই শনিবার থেকে পুজোর শপিং, রেস্তোরাঁয় খাওয়া, ঠাকুর দেখা, সবই একসঙ্গে চলতে পারে। তবে এবার কোন মন্ডপে জনস্রোত কেমন, তা জানা যাবে ঘরে বসেই। একটি পুজো দেখতে ঠিক কতটা সময় লাগবে, তাও এক ক্লিকেই জানা যাবে। এমনই উদ্যোগ নিয়েছে বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেট। শ্রীভূমি, দমদম পার্ক, এফডি ব্লকের মতো এদিকের বড় পুজোগুলির সব আপডেট দেবে 'পুজো ড্যাশবোর্ড'। বিগ বাজেটের সব পুজোয় জনস্রোত নামে। দর্শনার্থীদের সুবিধার জন্য এই সুবিধা পাওয়া যাবে বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের পুজো ড্যাশবোর্ডে।
শুক্রবার পুজোর গাইডম্যাপ প্রকাশ করেছে লালবাজারও। বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটেরও আলাদা পুজোর গাইডম্যাপ আছে। পার্কিং এরিয়া কোথায়, অনলাইনে জানা যাবে তাঁদের ওয়েবসাইটেই। শিশু নিখোঁজ হলে, মোবাইল হারালে, সাইবার ক্রাইমের শিকার হলে অনলাইনেই অভিযোগ জানানো যাবে পুলিশকে। এই উদ্যোগের নাম 'দুর্গাপুজো সুরক্ষা'।