বুধবার ষষ্ঠী। কলকাতায় রাস্তায় নির্যাতিতার মূর্তি নিয়ে পরিক্রমা করবেন জুনিয়র ডাক্তাররা। যাবেন শহরের বেশ কয়েকটি পুজো মণ্ডপে। তার আগে, জুনিয়র ডাক্তারদের হাত শক্ত করতে সরকারের উপর চাপ বাড়িয়ে এবার গণইস্তফার পথে হাঁটল উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ এবং কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের সিনিয়র ডাক্তাররা। এদিন সকালেই তাঁরা গণইস্তফা দিয়েছেন।
জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি মানতে এবার সরকারকে চিঠি দিল নাগরিক সমাজ। শিক্ষা, সিনেমা, আইন, চিকিৎসা মিলিয়ে মোট ৭৫ জন এই চিঠি লিখেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্যের মুখ্য সচিব মনোজ পন্থকে। ইমেল মারফৎ তা পাঠানো হয়েছে নবান্নকে।
রাজ্যের সরকারি হাসপাতালের নিরাপত্তায় উন্নতি চেয়ে রাজ্যের সামনে ১০ দফা দাবি রেখেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। গত ৯ অগাস্টের ঘটনার পর থেকেই কার্যত রাস্তায় রয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। সম্প্রতি কর্মবিরতি থেকে সরে এলেও ধর্মতলার অস্থায়ী মঞ্চে জুনিয়র ডাক্তারদের অনশন ৭২ ঘণ্টা পেরিয়ে গিয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে সমস্যা সমাধানে জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে আলোচনায় বসার জন্য এবার সরকারের কাছে অনুরোধ করল নাগরিক সমাজ। চিঠির সারবত্তা হল, রাজ্যের সরকারি হাসপাতালের উন্নয়নে জুনিয়র ডাক্তাররা যে ১০ দফা দাবি করেছেন, তা যুক্তিসঙ্গত। নাগরিক সমাজ মনে করেন, এবার এই ইস্যুতে সরকারের আলোচনা শুরু করার প্রয়োজন আছে।
আরজি কর, জয়নগরের সঙ্গে তাঁদের চিঠিতে উঠে এসেছে পার্ক স্ট্রিটের ঘটনাও। নাগরিক সমাজ মনে করে, সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কিছু ক্ষেত্রে নিরাপত্তায় গাফিলতির ছবি দেখা যাচ্ছে। যা উদ্বেগ তৈরি করেছে। কারণ, এর প্রতিবাদে পথে বসে এখন জুনিয়র ডাক্তারদের জীবনই কার্যত বিপন্ন।