হোটেল ম্যানেজমেন্ট নিয়ে পড়াশোনা। চাকরি করতেন গুজরাটে। তারপরই চলে এলো লকডাউন। বদলে গেল সমস্ত প্রেক্ষাপট। বদলে গেল মমতা গঙ্গোপাধ্যায়ের জীবনও। তাঁর বাবা একটি পাইস হোটেল চালাতেন অফিসপাড়ায়। ভাত, ডাল, আলুভাজা, সবজির সাধারণ পাইস হোটেল। লকডাউনের পর সেই হোটেলেরই হাল ধরলেন মমতা। শুরু করলেন নিজের হাতে ক্রেতাদের খাবার পরিবেশন করা। এক স্বপ্ন নিয়ে শুরু করেছিলেন জীবন, কেরিয়ার। স্বপ্ন বদলাল বটে। কিন্তু, তাতে যোগ হল আরও এক নতুন রং। সেই রং যেমন লড়াইয়ের, সেই রং তেমন জীবনেরও।
মমতা'র পাইস হোটেল অচিরেই হয়ে উঠল অফিসপাড়ার আকর্ষণের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু। ঝাঁ-চকচকে পোশাকে মুখে একগাল হাসি নিয়ে ক্রেতাদের খাবার পরিবেশন করে একা হাতেই যেন পাইস হোটেলের চিরাচরিত সংজ্ঞার ছাঁদ বদলে দিয়েছেন মমতা।
বেলেঘাটা থেকে সকাল ৯টার মধ্যে মিলেনিয়াম পার্কের এই অফিসপাড়ায় চলে আসেন মমতা গঙ্গোপাধ্যায়। হোটেলের খাবার রান্না করেন মমতার বাবা। বাজারও করেন তিনি। তাঁকে সাহায্য করেন মমতার মা।
কম খরচে সুস্বাদু খাবারের এই ঠেকটির ভিডিয়ো এখন নেটপাড়ায় ভাইরাল। ভাইরাল হওয়ার পর স্বাভাবিকভাবেই ক্রমে আগ্রহ আরও বেড়েছে মমতার পাইস হোটেলটি ঘিরে। তবে, ভাতের গন্ধ পেরিয়েও এই হোটেলটি যেন শেষমেশ বলে যায় সব হাতছানি পিছনে ফেলে একা হাতে নিজের কাছের মানুষদের জীবন আরও সুন্দর করে তোলার দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেওয়া এক সাহসী নারীর কথাই। বাঙালির সবথেকে আটপৌরে পাতের থালার মধ্যে সেই গল্প মিশে থাকে চুপিচুপি একা একা।