পঞ্চায়েত নির্বাচনে জনসংযোগ বাড়াতে মাসে তিনদিন করে জেলাভিত্তিক বৈঠক করবেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাংবাদিক বৈঠকে এমনই জানালেন তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। সাগরদিঘি উপনির্বাচনে বিধানসভা হারাতে হয়েছে। রীতিমতো সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্ক নিয়েও উদ্বেগ শুরু হয়। এদিনের বৈঠকে সংখ্যালঘু সেলের রাজ্য সভাপতিও বদলানো হয়েছে। নতুন দায়িত্ব পেলেন মোশারফ হোসেন।
শুক্রবার বৈঠকে পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে তেমন গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা না হলেও, এটিই ছিল তৃণমূল কংগ্রেসের পঞ্চায়েতের প্রস্তুতি বৈঠক। চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানান, পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে সময় মতো বৈঠক হবে। দল আরও ভাল ফল করবে, এই বিষয়ে আশাবাদী তৃণমূল।
পাশাপাশি জেলাওয়াড়ি দায়িত্ব পেলেন দলের শীর্ষনেতারা। পর্যবেক্ষক নয়, জেলার সংগঠন দেখবেন শীর্ষ নেতারা। অরূপ বিশ্বাসকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, বর্ধমান, নদিয়া ও দার্জিলিং জেলার। ববি হাকিম দেখবেন হাও়ড়া ও হুগলি। জঙ্গলমহলের দুই জেলা বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া ও পশ্চিম বর্ধমান দেখবেন মলয় ঘটক। বরানগরের বিধায়ক তাপস রায়কে দক্ষিণ দিনাজপুরের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বীরভূম জেলা কার দায়িত্বে তা নিয়ে প্রশ্ন ছিল। চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানিয়ে দেন বীরভূমের দায়িত্বে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই থাকবেন।