নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। নাম না করলেও বিধায়কের গ্রেফতারি নিয়ে মুখ খুললেন তৃণমূল নেত্রী ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সিবিআইয়ের অভিযোগ তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে ৫০০ কোটি টাকার দুর্নীতির। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার এই অভিযোগ এদিন খারিজ করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। পাল্টা প্রশ্নে দাবি করেছেন, কে গুনে দেখেছেন ? তাঁর দাবি, এই ঘটনার কী কোনও প্রমাণ আছে ? কেউ কী কোনও প্রমাণ দেখাতে পারবে ?
এদিকে, নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার রাজ্যের তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার চার দিনের সিবিআই হেফাজত। সোমবার সকালে গ্রেফতারের পর, দুপুরেই তাঁকে আদালতে পেশ করেছিল সিবিআই। বিশেষ আদালত গ্রেফতার বিধায়ককে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত সিবিআই হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে। শুধুমাত্র বিধায়কের স্ত্রীকে একদিন দেখা করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে সরাসরি জড়িত জীবনকৃষ্ণ। আদালতে এই অভিযোগ সিবিআইয়ের। বিধায়কের আইনজীবীর পাল্টা দাবি, তাঁর মক্কেলকে এই মামলায় ফাঁসানো হয়েছে।
বিধায়ককে গ্রেফতারের পর আদালতে এদিন সিবিআই অভিযোগ করেছে, উত্তরপত্র কারচুপি করে যোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের বঞ্চিত এবং অযোগ্যদের চাকরি পাইয়ে দিয়েছেন এই তৃণমূল বিধায়ক। তাঁকে হেফাজতে নিতে চাওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে সিবিআইয়ের কৌঁসুলি জানান, জীবন যোগ্য প্রার্থীদের প্রতারিত করেছেন। তাঁর বাড়ি থেকে বহু নিয়োগ সংক্রান্ত নথি পাওয়া গিয়েছে। তাই তাঁকে সিবিআই হেফাজতে নেওয়া প্রয়োজন।
দীর্ঘ ৬৪ ঘণ্টা জেরার পর নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ গ্রেফতার করা হয় মুর্শিদাবাদের বড়ঞার বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহাকে। এই গ্রেফতারি নিয়ে ইতিমধ্যেই সরব তৃণমূল কংগ্রেস। স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, পার্থ, মানিকের মতোই জীবনকৃষ্ণের গ্রেফতারিতেও তাঁকে অন্ধকারে রাখা হয়েছে।