তাঁর গানেই তাঁকে বিদায় দিল এই শহর। মহীনের আদি ঘোড়া তাপস দাস ওরফে বাপিদার শেষকৃত্য সম্পন্ন। রবিবার গড়িয়া শশ্মানে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে। তার আগে দেহ আনা হয়েছিল যাদবপুর বিশ্ব বিদ্যালয় ক্যাম্পাসে। সেখানে তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানান বিশ্ব বিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। মূলত তাঁদের উদ্যোগেই বাপিদার শেষ যাত্রায় গাওয়া হল সত্তরের দশকে মহীনের ঘোড়াগুলির সব জনপ্রিয় গান। রবিবার এসএসকেএম হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তাপস দাস। দীর্ঘদিন ধরেই ক্যানসারে ভুগছিলেন।
২৪ বছর পর সেই জুন মাস। ১৯৯৯ সালে কলকাতাকে ছেড়ে অনেক দূরে চলে গিয়েছিলেন গৌতম চট্টোপাধ্যায়। সেটা ছিল বিশে জুন। আর রবিবার ২৫ তারিখ সকালে এল বাপি দার চলে যাওয়ার দুঃসংবাদ। ৬৮ বছরের এই গায়কের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। ১৯৭৫ সালে তৈরি মহীনের ঘোড়াগুলির শুরুর দিন থেকেই গৌতম চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে ছিলেন বাপি দা। পরবর্তী সময়ে তাঁদের আর এক সঙ্গী তপেশ বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে খুলেছিলেন একটি নতুন ব্র্যান্ড। তাপস ও তপেশের সেই ব্র্যান্ডের নাম ছিল বেহালা চৌরাস্তা।
এই বছরের জানুয়ারি মাসে জানতে পারা যায় বাপি দা অসুস্থ। মারণ ক্যানসারে আক্রান্ত তিনি। তাঁর চিকিৎসার টাকা জোগার করতে শহরের প্রতিটি শিল্পী এগিয়ে এসেছিলেন। হয়েছিল নানা কনসার্ট। পরবর্তী সময়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে শিল্পীর যাবতীয় চিকিৎসার ভার নেয় রাজ্য। ভর্তি করা হয় এসএসকেএম হাসপাতালে।