তিহার জেল থেকে কলকাতায় আনা হল মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত লস্কর-ই-তৈবার (Lashkar-E-Tayyeiba) জঙ্গিকে। মৃত্যুদণ্ড পুনর্বিবেচনার আবেদন করা হয় কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। আদালতে নিজেই সওয়াল করে ওই লস্কর জঙ্গি। পরবর্তী শুনানি পর্যন্ত ওই জঙ্গিকে কলকাতায় রাখার জন্য রাজ্য পুলিশের ডিজি ও ডিআইজি কারা-বিভাগকে নির্দেশ বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী ও বিচারপতি বিভাস পট্টনায়কের ডিভিশন বেঞ্চের। মামলার পরবর্তী শুনানি ১৭ মে।
লস্কর-ই-তৈবার সক্রিয় সদস্য মহম্মদ ইউনিস ওরফে বিলালকে ২০০৭ সালে বনগাঁ সীমান্ত থেকে আটক করে বিএসএফ (BSF)। পরে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর ইউনিসকে ফাঁসিতে ঝোলানোর রায় দেন বনগাঁ আদালতের অতিরিক্ত জেলা বিচারক। ভারতীয় দণ্ডবিধির (Indian Pinal Code) ১২১, ১২১এ, ১২২, ১২০ বি ধারায় দোষী সাব্যস্ত করা হয় মহম্মদ ইউনিসকে। ফাঁসির নির্দেশ দেয় বনগাঁ আদালত। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করেই হাইকোর্টে আবেদন করে ইউনিস। সেই অনুযায়ী ডেথ রেফারেন্স মামলা করা হয় কলকাতা হাইকোর্টে।
আরও পড়ুন: ২০২৪-এ মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, দাবি অপরূপা পোদ্দারের
ইউনিস ওরফে বিলাম প্রথমে পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশে আস্তানা নেয়। তারপর সেখান থেকে বেনাপোল-পেট্রোপোল হয়ে ভারতে ঢোকে। এরপর উত্তর ২৪ পরগনা-সহ রাজ্যের একাধিক জেলা থেকে লস্কর-ই-তৈবার সক্রিয় সদস্যদের দলে নেওয়ার দায়িত্ব ছিল তার। জানা গিয়েছে, তাঁর মূল কাজ ছিল, আত্মঘাতী বোমাবাহিনী তৈরি করা। মোটা টাকা, নারীসঙ্গের টোপ দিয়ে যুবসমাজকে জঙ্গি সংগঠনে টানার চেষ্টা করত সে। সেই সদস্য সংগ্রহ করে ভারতের বিরুদ্ধে নাশকতা চালানোই তার অন্যতম কাজ ছিল।
লস্কর-ই-তৈবা সদস্য পাকিস্তানি ইউনিসের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতা, ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধাস্ত্র নির্মাণ-সহ একাধিক আইপিসি ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে বনগাঁ অতিরিক্ত জেলা জজ। ২০১৭ সালের ১৬ জানুয়ারি, তাকে ফাঁসির নির্দেশ দেয় বনগাঁ আদালত। । সঙ্গে আরও কয়েকজন শাগরেদকেও শাস্তি দেয় আদালত।