আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসক ও পড়ুয়া তরুণীকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার প্রতিবাদ। শিক্ষক দিবসের সরকারি অনুষ্ঠান স্থগিত রাখা হয়েছে। প্রতি বছর ৫ সেপ্টেম্বর বিভিন্ন স্কুলেও অনুষ্ঠান হয়। এবার সরকারি স্কুলগুলি শিক্ষক দিবসের অনুষ্ঠান সম্পূর্ণ বাতিল করছে না। তবে আরজি কর কাণ্ডের আবহে এবারের অনুষ্ঠান একটু অন্যরকম করতে চাইছে স্কুলগুলি। স্কুলের পড়ুয়ারা ওই দিন কালো ব্যাজ পরে আসবে। ছোট ছোট অনুষ্ঠান করে সমাজ সচেতনতার বার্তা দেবেন পড়ুয়ারা।
শহরের অন্যতম স্কুল যোধপুর পার্ক বয়েজ হাই স্কুলে প্রতি বছর শিক্ষক দিবসে উঁচু ক্লাসের পড়ুয়ারা নিচু ক্লাসের পড়ুয়াদের পাঠ্যক্রম থেকে একটি বিষয় পড়ায়। এবার যোধপুর পার্কের প্রধান শিক্ষক অমিত সেন মজুমদার জানিয়েছেন, এবার উঁচু ক্লাসের পড়ুয়ারা তাদের জুনিয়রদের মূল্যবোধের শিক্ষা দেবেন। পড়ুয়াদের বলা হবে, সাম্প্রতিক ঘটনা থেকে মুখ ফেরানো নয়। বরং নিজেকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা তৈরি করতে হবে। পড়ুয়ারা শিক্ষক দিবসে বিভিন্ন উপহার দেন। এবার শিক্ষকরাও বলছেন, এই পরিস্থিতিতে তাঁরা কোনও উপহার চান না।
আরজি করের ঘটনায় শিরোনামে এসেছিল হাওড়ার তারাসুন্দরী বালিকা বিদ্যালয়। প্রধান শিক্ষিকা মোনালিসা মাইতি ছাত্রছাত্রীদের জানিয়েছিলেন, রাষ্ট্র ব্যবস্থা ভেঙে পড়লে ১৮ বছরের নিচের পড়ুয়াদেরই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তিনি শিক্ষক দিবসের আগে জানিয়েছেন, "এবার স্কুলে শিক্ষক দিবসের অনুষ্ঠান হচ্ছে না। কালো ব্যাজ পরে আসবেন ছাত্রীরা।" ১৮ বছরের নিচে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা বলতে চান তিনি। পাশাপাশি ছাত্রীদের মূল্যবোধের শিক্ষাও দিতে চান।
ভবানীপুর মিত্র ইনস্টিটিউশনেও এবার শিক্ষক দিবস পালন হবে না। কিন্তু পঞ্চম অথবা ষষ্ঠ শ্রেণির পড়ুয়ারা যদি চান, তা হলে বাধা দেওয়া হবে না। এমনই জানিয়েছেন প্রধান শিক্ষক রাজা দে। তিনি জানিয়েছেন, এই অনুষ্ঠানের দিকেই সারাবছর তাকিয়ে থাকে ছোট পড়ুয়ারা। যাদবপুর বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক পার্থপ্রতিম বৈদ্য জানিয়েছেন, এবারের শিক্ষক দিবসে পড়ুয়াদের শ্রদ্ধা, সম্মান ও সহিষ্ণুতার পাঠ দেওয়া হবে। যা এখনকার পরিস্থিতিতে অত্যন্ত জরুরি। পার্ক ইনস্টিটিউশনের প্রধান শিক্ষক সুপ্রিয় পাঁজা জানান, ছোট করে শিক্ষক দিবসের অনুষ্ঠান করবেন তাঁরা।