মুখ্যমন্ত্রীর প্রস্তাবকে স্বাগত জানালেন জুনিয়র ডাক্তাররা। জুনিয়র ডাক্তাররা জানালেন, তাঁরা আলোচনায় বসতে চান। কিন্তু তাঁদের পাঁচ দফা দাবির সঙ্গে কোনও রকম সমঝোতা করবেন না। রাগ বা জেদাজেদির কোনও বিষয় নয়। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে যে কোনও জায়গায় আলোচনা করতে রাজি আছেন।
অনিকেত মাহাতো জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের অভিভাবক। তিনি যে কোনও জায়গায় আসতে পারেন। তাঁদের ধর্নামঞ্চে এসেছেন, স্বাগত জানাচ্ছেন। তাঁদের আন্দোলনের প্রতি এটাকে সমার্থক বলে মনে করছেন। এক জন অভিভাবক হিসাবে তিনি যে দৃষ্টিভঙ্গি দেখালেন, তা থাকা উচিত। কিন্তু ৩৪ দিন পর কেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনকে কুর্নিশ। তাঁদের আন্দোলন মঞ্চে দাঁড়িয়ে রাজ্যের সব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতি ভেঙে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। জুনিয়র ডাক্তারদের কাজে ফেরার অনুরোধ করে তিনি জানিয়েছেন, সরকার তাঁদের পাঁচ দফা দাবি নিয়ে ভাববেন। এবং দোষীদের অবশ্যই শাস্তি দেবেন।
শনিবার সল্টলেকে আচমকা জুনিয়র ডাক্তারদের ধরনা মঞ্চে হাজির হয়ে জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতিশ্রুতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সঙ্গে যান রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার। বৃহস্পতিবার নবান্নে বৈঠক করতে গিয়েছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। সেই বৈঠক হয়নি। তার আটচল্লিশ ঘণ্টার মধ্যে সল্টলেকে স্বাস্থ্য ভবনে জুনিয়র ডাক্তারদের ধরনা মঞ্চে নিজের হাজির হলেন মমতা।