আরজি করের ঘটনায় নয়, ১২ এবং ১৪ অগাস্টের ঘটনায় কলকাতা পুলিশ কার্যত ব্যর্থ বলেই স্বীকার করলেন কলকাতা পুলিশের নগরপাল বিনীত গোয়েল। মঙ্গলবার লালবাজারে তাঁর সঙ্গে প্রায় দেড় ঘণ্টা বৈঠকের পর এই দাবি করলেন আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতিনিধি অনিকেত মাহাতো। বৈঠক শেষে লালবাজারের বাইরে এসে তিনি দাবি করেন, পুলিশ কমিশনারের পদত্যাগ দাবি করে তাঁরা স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন। তবে, পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে প্রায় দেড় ঘণ্টা কথা বলার পরেও তাঁরা সন্তুষ্ঠ নন। তাই লালবাজার থেকে অবস্থান সরলেও, কর্মবিরতি চালিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে তাঁরা এখনও অনড়। উপহার হিসাবে পুলিশ কমিশনারের হাতে প্রতীকি শিড়দাঁড়া তুলে দিয়ে এসেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা।
প্রায় ২৪ ঘণ্টা অবস্থানের পর এদিন দুপুরে বিনীত গোয়েলের সঙ্গে দেখা করার জন্য জুনিয়র ডাক্তারদের ২২ জনকে অনুমতি দিয়েছিল কলকাতা পুলিশ। বরফ গলাতে ফিয়ার্স লেনে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলতে রাস্তায় নামে কলকাতা পুলিশের শীর্ষ অফিসাররা। এই প্রতিনিধি দলেই ছিলেন অনিকেত মাহাতো। বৈঠক শেষে তিনি দাবি করেন, আরজি করের ঘটনায় নিজের পদত্যাগ দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন পুলিশ কমিশনার। কারণ, তিনি মনে করেন, এই ঘটনার তদন্তে তিনি নিজের কাজে সন্তুষ্ঠ।
যদিও পুলিশ কমিশনারের এই মনোভাব না পসন্দ জুনিয়র ডাক্তারদের। তাই নিজেদের পাঁচ দফা দাবি থেকে এখনই সরে আসছে না তাঁরা। অনড় থাকছেন পুলিশ কমিশনারের পদত্যাগের দাবিতেও। যদিও ওই বৈঠকে পুলিশ কমিশনার নাকি তাঁদের জানিয়েছেন, এই ব্যাপারে তাঁর উর্ধ্বতন কতৃপক্ষ যদি তাঁর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নিতে চান, তাহলে তিনি তা হাসি মুখে মেনে নেবেন।
যদিও জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে পুলিশ কমিশনারের বৈঠক নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও মুখ খোলেনি লালবাজার। এর আগে, এদিন দুপুরে ৯ ফুটের লৌহকপাট সরিয়ে আরও ১০০ মিটার এগিয়ে যাওয়ার জন্য জুনিয়র ডাক্তারদের অনুমতি দেওয়া হয়। এর পাশাপাশি আন্দোলনকারীরা পুলিশের কর্তাদের জানান, তাঁরা লালবাজারে গিয়ে একবার সিপির সঙ্গে কথা বলবেন এবং স্মারক লিপি জমা দেবেন।