সরকারকে দেওয়া সময়সীমা শেষ। আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদে এবার আমরণ অনশন শুরু করলেন রাজ্যের জুনিয়র ডাক্তাররা। তবে, প্রথম দিনে যে ছয় জন অনশনে বসলেন, তাঁদের মধ্যে আরজি কর হাসপাতালের কেউ নেই। জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি, তাঁদের ১০ দফা দাবি রাজ্যে না মানা পর্যন্ত এই অনশন চলবে। অনশনের মধ্যে কোনও জুনিয়র ডাক্তার যদি মারা যান, তাহলে তার দায় সরকারকে নিতে হবে বলে পাল্টা হুমকি দিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা।
এদিকে অবস্থান মঞ্চ থেকে জুনিয়র ডাক্তাররা জানিয়েছেন, আরজি করের ঘটনার তদন্তে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের উপর আর তাঁরা আস্থা রাখতে পারছেন না। প্রতিবাদীদের মতে, ধীরে ধীরে সিবিআইয়ের উপর থেকে তাঁরা আস্থা হারাচ্ছেন। আদালতে যে শুনানি হচ্ছে তাতে বোঝা যাচ্ছে না, তদন্ত ঠিক কোন পর্যায়ে রয়েছে।
এদিকে আরজি কর হাসপাতালে থ্রেট দেওয়ার অভিযোগ বহিষ্কার করা হল ১০ চিকিৎসককে। তাদের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে হস্টেল ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এদিন আরজি কর হাসপাতালে বসেছিল কাউন্সিলের বৈঠক। সেই বৈঠকেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, যে ১০ জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে, তাঁদের বাড়িতে অভিযোগপত্র পাঠিয়ে দেওয়া হবে। বহিষ্কৃত চিকিৎসকেরা হলেন সৌরভ পাল, আশিস পান্ডে, অভিষেক সেন, আয়ুশ্রী থাপা, নির্জন বাগচী, সরিফ হাসান, নীলাগ্নি দেবনাথ, অমরেন্দ্র সিংহ, সৎপাল সিংহ এবং তনভীর আহমেদ কাজী।
ধর্মতলা থেকে সরে যেতে এর আগে জুনিয়র ডাক্তারদের অনুরোধ করেছিল কলকাতা পুলিশ। ইমেল বার্তায় লালবাজার জানিয়েছে, পুজোর মুখে ধর্মতলায় জুনিয়র ডাক্তারদের অবস্থানে বসার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। ভিড় এড়াতেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানা গিয়েছে।
এদিকে, শুক্রবার মধ্যরাত থেকে কাজে ফিরেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। যার ফলে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল-সহ রাজ্যের প্রতিটি সরকারি হাসপাতালে ফের আগের মতো কাজে গতি এসেছে বলে স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে জানানো হয়েছে।
কেন দেওয়া হল না জুনিয়র ডাক্তারদের অনুমতি ?
লালবাজার সূত্রে দাবি করা হয়েছে, অন্যান্য স্বাভাবিক দিনের তুলনায় পুজোয় সময় ধর্মতলায় ভিড়ের চাপ বেশি থাকে। মূলত নিউ মার্কেট চত্বরে পুজোর বাজার করতে আসেন সাধারণ মানুষ। ফলে শহরের ব্যস্ততম অঞ্চলে জুনিয়র ডাক্তারদের এই কর্মসূচি চললে, যানজট বাড়তে পারে। ফলে, যান নিয়ন্ত্রণেও অসুবিধার মুখে পড়তে হতে পারে।