আইন থাকলেও তা পড়ুয়াদের বাধাতেই প্রয়োগ করা যায় না। বৃহস্পতিবার লালবাজারে হাজির হয়ে পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে এই দাবি করলেন যাদবপুর বিশ্ব বিদ্যালয় ডিন অফ স্টুডেন্ট রজয় রায়। লালবাজার সূত্রে দাবি করা হয়েছে, প্রায় তিন ঘণ্টা জেরা করা হয়েছে তাঁকে।
তদন্তকারীদের সূত্রে দাবি, পুলিশের কাছে রজত রায় জানিয়েছেন, র্যাগিং-বিরোধী স্কোয়াড বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে। যদিও কিছু খামতির কথাও অবশ্য লালবাজারের কর্তাদের কাছে স্বীকার করেছেন রজত রায়।
আরও পড়ুন : যাদবপুরে শুভেন্দুকে কালোপতাকা, এবিভিপি-আরএসএফ সংঘর্ষে উত্তাল ক্যাম্পাস
লালবাজার সূত্রে দাবি, রজত রায়ের বয়ানে পুলিশের মনে হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় এবং হস্টেলের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব রয়েছে। যার জেরেই শৃঙ্খলার অবনতি হয়েছে।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের পর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রিপোর্টে অসন্তোষ প্রকাশ করল রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশন। কমিশন জানিয়েছে, শো-কজ নিয়ে রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু যে রিপোর্ট দিয়েছেন তা বেশ দায়সারা মনে হয়েছে তাদের।
এই পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে গাফলতি কোথায়, তা জানতে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি তৈরি করল রাজ্য উচ্চশিক্ষা দফতর। চার সদস্যের এই কমিটি আগামী দু সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেবে বলে জানা গিয়েছে।
একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়েছে, যাদবপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের মধ্যেই প্রথম বর্ষের ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনাটি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে।