মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলায় বন্ধ ইন্টারনেট পরিষেবা (Internet Service)। এর কারণ জানতে চেয়ে এবার সরকারের কাছে হলফনামা তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। বৃহস্পতিবার বেলা ২টোয় মামলার পরবর্তী শুনানি।
মাধ্যমিক পরীক্ষার সময় বেশ কয়েকটি স্পর্শকাতর এলাকায় সকাল ১১টা থেকে বেলা ৩.৫০ পর্যন্ত ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ (Internet Service Ban) রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য। তা নিয়েই রাজ্যের একটি সংগঠন হাইকোর্টে মামলা করে। ওই সংগঠন আদালতে জানিয়েছে, শুধুমাত্র পরীক্ষার কারণে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা ও ১৪৪ ধারা জারি করা আইনসঙ্গত নয়। গোটা রাজ্যে নয়, কিছু কিছু ব্লকে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে। সংগঠনটির দাবি, ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় ওই অঞ্চলগুলোতে ব্যবসা-বাণিজ্যে ক্ষতি হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ভবানীপুরে স্বামীর অস্বাভাবিক মৃত্যু, ময়না তদন্তের রিপোর্ট আসতেই গ্রেফতার স্ত্রী
বুধবার হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চে এই সিদ্ধান্তের পক্ষে সওয়াল করেন অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, "সংগঠনটি ১৪৪ ধারা জারির কারণ না জানানোর অভিযোগ তুলেছে। কিন্তু আইন-শৃঙ্খলার অবনতি হতে পারে, এমন সম্ভাবনা থাকলে ইন্ডিয়ান টেলিগ্রাফ আইন অনুযায়ী সাময়িক সময়ের জন্য ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা যায়। একজন দায়িত্বশীল আধিকারিক এই বিজ্ঞপ্তি জারি করতে পারেন।" রাজ্যের পক্ষ থেকে জানানো হয়, গোয়েন্দা দফতরের রিপোর্ট থেকেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
রাজ্যে মাধ্যমিক পরীক্ষা চালাকালীন বীরভূমের নলহাটি, ইলামবাজার, ময়ূরাক্ষী, উওরবঙ্গের বানারহাটা, ময়নাগুড়ি, শীতলকুচি, উত্তর দিনাজপুরের রতুয়া, গাজল, দার্জিলিংয়ের কয়েকটি বিশেষ বিশেষ জায়গায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে।