আরজি করের ঘটনায় প্রতিবাদে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে হয়েছে মানববন্ধন। তবে অভিনব মানবশৃঙ্খলের সাক্ষী থাকল তিলোত্তমা। দীর্ঘ ১৫ কিলোমিটার পথ জুড়ে হাতে হাত ধরে দাঁড়িয়ে সাধারণ মানুষ। বিটি রোডের রাস্তার একপাশে এমনই এক দৃশ্য দেখা যায়। প্রত্যেকের দাবি একটাই, আরজি করের বিচার চাই। রবিবার মানবশৃঙ্খলে সামিল হলেন বয়স্ক নাগরিক থেকে কচিকাচারা। শ্যামবাজার মোড়ে বহু মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে যোগ দেয় বহু মানুষ। রথতলা, ডানলপ, সিঁথির মোড়, রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়, চিড়িয়ামোড়ের মতো বড় বড় এলাকায় মানবশৃঙ্খলে যোগ দিলেন অনেক মহিলা থেকে পুরুষ, সবাই। বেশ কিছু রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভও চলে।
এদিকে শুরু হয়ে গেল 'রাতদখল কর্মসূচি'। রাত ৯টা থেকে যাদবপুর এইটবি বাসস্ট্যান্ডে প্রচুর মানুষকে দেখা যায়। ১৪ অগাস্ট প্রেসিডেন্সির প্রাক্তনী রিমঝিম সিনহাদের ডাকে ব্যাপক সাড়া ফেলেছিল রাতদখল কর্মসূচি। ৮ সেপ্টেম্বর ফের রাত জাগতে তৈরি শহর। রবিবার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে রাত জাগবে নির্যাতিতার বাবা-মা। ধর্মতলার ধর্নামঞ্চ থেকে নির্যাতিতার বাবা জানিয়েছেন, এত মানুষ যখন আছেন, তখন বিচার পাবেনই তাঁরা। দলীয় রাজনীতির বাইরে বেরিয়ে জাতীয় পতাকা নিয়ে জমায়েতে সামিল হয় প্রচুর মানুষ। গান, কবিতা, নাটকের মাধ্যমে রাতদখল কর্মসূচি পালন করা হবে।
রবিবার আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদের ঢেউ ছড়িয়ে পড়ে জেলায় জেলায়। নৈহাটিতে আরজি কর কাণ্ডে প্রতিবাদ মিছিলে হামলার অভিযোগ উঠেছে। মিছিল চলাকালীন বেশ কিছু দুষ্কৃতী ঢুকে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। এদিকে বোলপুর শহরেও আরজি কর কাণ্ডে প্রতিবাদে সামিল হন বহু সাধারণ মানুষ। মোমবাতি ও জাতীয় পতাকা নিয়ে মিছিল করেন প্রাক্তন সেনাকর্মীরা। আরজি কর কাণ্ডে রাণিগঞ্জেও মানববন্ধন করেন চিকিৎসক থেকে সাধারণ মানুষ। জাতীয় সঙ্গীত গেয়ে এই অনুষ্ঠান শেষ হয়। বাঁকুড়া জেলাতেও অরাজনৈতিক সংগঠনের ডাকে আরজি কর কাণ্ডে মিছিল হয়। বাঁকুড়ার বঙ্গ বিদ্যালয় থেকে বাঁকুড়া বাজার হয়ে ফের বিদ্যালয়ে এসে শেষ হয় মিছিল।