অনশনের ১২দিন অতিক্রান্ত। আরজি করের নির্যাতিতার ধর্ষণ ও খুনের বিচার সহ আরও ১০দফা দাবিতে ‘আমরণ অনশন’ চালিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। এদিকে লক্ষ্মীপুজোর সকালেই আরও দুই জেলায় উদ্ধার হয়েছে দুই যুবতীর দেহ। একটি কৃষ্ণনগর, অন্যটি পুরুলিয়ায়। ধর্মতলার অনশন মঞ্চের উত্তাপ ছড়িয়ে পড়েছে সারা বাংলা জুড়েই। কার্নিভালের সমান্তরালে জুনিয়র ডাক্তারদের ডাকে দ্রোহের কার্নিভালে যোগ দিয়েছিলেন হাজার হাজার মানুষ।
৫ অক্টোবর রাত সাড়ে ৮টা থেকে ধর্মতলায় অনশনে বসেন ৬ জন জুনিয়র ডাক্তার। রবিবার তাঁদের সঙ্গে যোগ দেন অনিকেত মাহাতো। গত বৃহস্পতিবার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয় অনিকেতের। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের দুই ডাক্তার সৌভিক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অলোক বর্মাও অনশন শুরু করেছিলেন। অসুস্থ হয়ে তাঁরাও এই মুহূর্তে হাসপাতালে। এই মুহূর্তে হাসপাতালে রয়েছেন অনুষ্টুপও। নবমীর রাতে অসুস্থ হওয়ায় ধর্মতলার অনশন মঞ্চ থেকে কলকাতা মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয় অনুষ্টুপ মুখোপাধ্যায়কে। রবিবার অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন পুলস্ত্য, সোমবার ভর্তি করতে হয় তনয়াকে। এদিকে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ধীরে ধীরে সুস্থতার দিকে রয়েছেন অনিকেত। তাঁকে ছেড়ে দেবার ভাবনা চিন্তা চলছে।
শুক্রবার রাতে নতুন করে অনশন মঞ্চে বসেন পরিচয় পণ্ডা এবং আলোলিকা ঘোড়ুই, মঙ্গলবার যোগ দেন আরও দুজন ডাক্তার রুমেলিকা কুমার এবং স্পন্দন চৌধুরী। আমরণ অনশনে জলটুকু ছাড়া কিচ্ছুটি মুখে তুলছেন না জুনিয়র ডাক্তাররা। উদ্বেগ বাড়ছে ডাক্তারদের দুর্বলতা নিয়ে। অনশনকারীদের রক্তে গ্লুকোজের ওঠাপড়া নিয়েও বাড়ছে চিন্তা।
কে কেমন আছেন?
অর্ণব মুখোপাধ্যায়:
এসএসকেএমের নেফ্রোলজি বিভাগের পিডিটি প্রথম বর্ষের পড়ুয়া অর্ণব মুখোপাধ্যায়ের ব্লাড প্রেসার: ১২৪/৯২, পালস রেট: ৮৪, সিবিজি: ৬৭, মূত্রে মিলেছে কিটোন বডি।
স্নিগ্ধা হাজরা:
অনশনরত আরও এক চিকিৎসক স্নিগ্ধা হাজরার ব্লাড প্রেসার: ১০৪/৭০, পালস রেট: ৮৬, সিবিজি: ৬১, মূত্রে মিলেছে কিটোন বডি
সন্দীপ মণ্ডল:
উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজের অনশনরত চিকিৎসক সন্দীপ মণ্ডলের রক্তচাপ: ১৩০/৭৮, নাড়ির গতি: ১০২, সিবিজি: ৪৮
স্পন্দন চৌধুরী:
মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের মেডিসিনের পিজিটি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র স্পন্দনের রক্তচাপ: ১১৮/৮০, পালস রেট: ৯২
রুমেলিকা কুমার:
রক্তচাপ: ১০৪/৬০, নাড়ির গতি: ৭২
সায়ন্তনী ঘোষ হাজরা
কেপিসি মেডিকেল কলেজের চিকিৎসক সায়ন্তনী ঘোষ হাজরার রক্তচাপ: ১০২/৮০, নাড়ির গতি: ৮০, সিবিজি: ৬৩, মূত্রে কিটোন বডির অস্তিত্ব
পরিচয় পণ্ডা:
রক্তচাপ: ১২৪/৯০, নাড়ির গতি: ৮৮, সিবিজি: ৭২
শারীরিক ভাবে দুর্বল হলেও, মনোবল এখনও অটুট রয়েছে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।