দুটি গাড়ির ভাড়া, ভাড়াটে খুনিদের হোটেলের খরচ। বিল চড়চড় করে বেড়েছে। পকেটেও চাপ বাড়ছিল। এদিকে বাগুইআটির (Baguiati Murder) জগৎপুরের বাসিন্দা অতনু দে-কে একা পাওয়া যায়নি। তাই বাধ্য হয়েই জোড়া খুন। পুলিশের কাছে জেরায় এমনই বিস্ফোরক দাবি প্রধান অভিযুক্ত সত্যেন্দ্র চৌধুরীর (Satyendra Chowdhury)। যদিও তাঁর জবাবে সন্তুষ্ট নন গোয়েন্দারা।
গত ২২ অগাস্ট বাগুইহাটির বাসিন্দা অতনু দে ও তাঁর পিসতুতো ভাই অভিষেক নস্করকে খুন করে সত্যেন্দ্র ও তার ভাড়াটে খুনিরা। শুক্রবারই গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। শুক্রবার রাতেই বিধাননগর কমিশনারেটের অফিসে সত্যেন্দ্রকে জেরা করেন গোয়েন্দারা। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, জেরায় সত্যেন্দ্র জানিয়েছে, অতনুকে খুন করাই তার প্রধান উদ্দেশ্য ছিল। অতনুকে ডেকে পাঠালেও একা আসেনি। সঙ্গে কেউ না কেউ ছিল। এদিকে ভাড়াটে খুনি, গাড়ির খরচ, কিছুই টানতে পারছিল না সত্যেন্দ্র। তাই অতনুর সঙ্গে অভিষেককেও খুন করা হয়েছে বলে জেরায় জানিয়েছে সত্যেন্দ্র।
আরও পড়ুন: হালয়ায় খুলতে পারে টালা ব্রিজ, চূড়ান্ত পরীক্ষার জন্য খড়গপুর IIT-কে চিঠি পূর্ত দফতরের
সত্যেন্দ্রকে জেরা করে জানা গিয়েছে, ধৃতদের সঙ্গে ধাবাকর্মী অভিজিৎ বসুর সঙ্গে তার ৫-৬ বছর ধরে যোগাযোগ। খুনের ঘটনায় দুই ছাত্রকে গলায় ফাঁস দেওয়া-সহ নানা ভূমিকা ছিল অভিজিতের। খুনের পর ভাড়া নেওয়া লাল গাড়িটি সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে ফেরত দিয়ে দেয় সত্যেন্দ্র। এরপরই সবাই যে যার মতো গা ঢাকা দেয়। যদিও অভিজিতের দাবি, প্রতিশ্রুতি দিলেও তার প্রাপ্ত অর্থ মেটায়নি সত্যেন্দ্র।