সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে এবার সরাসরি মুখ খুললেন RG কর হাসপাতালের এক গ্রুপ ডি কর্মী। তাঁর নাম মনোজ মল্লিক। অভিযোগ, প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের কথা না শোনার কারণে তাঁকে বদলি করে দেওয়া হয়েছিল। এমনকি ১০ হাজার টাকা করে মাসোহারা দেওয়ার জন্যও চাপ দেওয়া হত।
মনোজ মল্লিক জানিয়েছেন, তিনি ফরেনসিক বিভাগের মরচুয়ারি ডোম হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন। অভিযোগ, একদিন তাঁকে নিজের রুমে ডেকেছিলেন সন্দীপ ঘোষ। এবং মর্গের এক কর্মীর বিরুদ্ধে লিখিত মিথ্যা অভিযোগ করার জন্য চাপ তৈরি করেছিলেন। যদিও তিনি কোনও অভিযোগ করবেন না বলে জানিয়েছিলেন।
যদিও এখানেই শেষ নয়, সহকর্মীর বিরুদ্ধে লিখিত মিথ্যা অভিযোগ না করার জন্য পার্টি ফান্ডে ১০ হাজার টাকা করে দেওয়ার জন্যও চাপ তৈরি করেছিলেন সন্দীপ ঘোষ। যদিও মনোজের জবাব ছিল, তিনি একজন গ্রুপ ডি কর্মী ছিলেন। সেই কারণে প্রতিমাসে ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া তাঁর পক্ষে অসম্ভব। এরপরেই তাঁকে বদলি করে দেওয়া হয় অ্য়ানাটমি বিভাগে। যদিও মৌখিকভাবে ওই বদলি করা হয়েছিল বলে দাবি মনোজের।
মনোজ মল্লিক সরাসরি জানিয়েছেন, তিনি কোনওরকম ভুল কাজ করেননি। সাধারণ মানুষ ও পুলিশকে যথাসম্ভব সাহায্য করতেন তিনি। আর সেকারণে সকলেই পছন্দ করতেন তাঁকে।
আনন্দবাজার অনলাইনে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে মনোজ মল্লিক জানিয়েছেন, মর্গে বেআইনিভাবে টাকা নেওয়া হতো। দেহ সেলাই থেকে শুরু করে পোস্ট মর্টেম রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত টাকা দাবি করা হত। এবং সেই টাকা বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে পৌঁছে যেত।
এর আগেই CBI সূত্রে জানা গিয়েছিল, RG কর হাসপাতালের মর্গে প্যাকেজ সিস্টেম চালু ছিল। পোস্ট মর্টেম করা থেকে শুরু করে মৃতদেহ বহনের জন্য গাড়ির ব্যবস্থা সবকিছুই ওই প্যাকেজের মধ্যে ধরা থাকত। মৃত ব্যক্তির পরিবারের আর্থিক ক্ষমতা বুঝেই ৩০০০ টাকা থেকে শুরু করে ২০০০০ টাকা পর্যন্ত দাবি করা হত। এমনকি দাবিমতো টাকা না মেটালে সঠিকভাবে দেহ সেলাই না করেই ফিরিয়ে দেওয়া হত মৃতদেহ।