ঘটনাকে বিকৃত করা হচ্ছে। তিনি এই ঘটনার সামনে মাথানত করবেন না। যদি কেউ তাঁকে অপমান করে নির্বাচন থেকে ফায়দা লুঠতে চান, ইশ্বর তাঁদের মঙ্গল করুক। কারণ, তিনি বাংলার দুর্নীতি এবং হিংসা বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পিছু হঠবেন না। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা শ্লীলতহানির গুরুতর অভিযোগের পর বৃহস্পতিবার রাতে এটাই প্রথম প্রতিক্রিয়া বাংলার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের। এই ঘটনার পরেই রাজ্যপালকে তীব্র কটাক্ষ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কলকাতার হেয়ার স্ট্রিট থানায় রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ দায়ের করেন রাজভবনের এক অস্থায়ী কর্মী। এই ঘটনায় রাজ্যপালের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করা হয়েছে বলে দাবি করেছে রাজ্য বিজেপি। পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগে নির্যাতিতা দাবি করেছেন, চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাঁকে দু বার শ্লীলতাহানি করা হয়েছে।
মহিলার অভিযোগ ২৪ এপ্রিল এবং ২ মে তাঁর শ্লীলতাহানি হয়। এদিন রাজ্যপাল তাঁকে চেম্বারে ডেকে ছিলেন বলেই অভিযোগ ওই মহিলার। মহিলার অভিযোগের গুরুত্ব বুঝে হেয়ার স্ট্রিট থানায় যান কলকাতা পুলিশের সাত পদস্থ কর্তা। তাঁদের মধ্যে রয়েছে ডিসি সেন্ট্রালও।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৯ সাল থেকে রাজভবনে অস্থায়ী ভাবে গৃহসহায়িকার কাজ করেন ওই মহিলা। তবে, এই অভিযোগের ভিত্তিতে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে কী ভাবে মামলা হবে, তা নিয়ে রাত পর্যন্ত সন্দিহান কলকাতা পুলিশ। কারণ, সংবিধানের ৩৬১ ধারায় স্পষ্ট রাষ্ট্রপতি এবং রাজ্যপালের বিরুদ্ধে সরাসরি ফৌজদারি মামলা দায়ের করা যায় না। তাই পুলিশের দাবি, এই ব্যাপারে রাষ্ট্রপতি ও সুপ্রিম কোর্টের কাছে যাওয়ার ভাবনা চলছে।