সর্পিল মুরলীধর সেন লেন। প্রথমবার অমিত শাহ। বাংলার বিধানসভা ভোট পরবর্তী সময়ে এই প্রথমবার বঙ্গবিজেপির আদি সদর দফতরে পদধূলি পড়ল কেন্ত্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর। বঙ্গনেতাদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি শুধু স্রোতা। তবে খোঁজ ছিলেন বাংলার বর্তমান পরিস্থিতিতে বামদের অবস্থান নিয়ে। যা অমিত শাহের কলকাতা সফরের প্রথম দিনে সবচেয়ের তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা বলেই দাবি রাজনৈতিক মহলের। সূত্রের দাবি, এদিনের বৈঠক থেকে বঙ্গ বিজেপির নেতাদের কাছ থেকে বিশেষ উৎসাহ নিয়ে বামদের সম্পর্কে খুঁটিয়ে জানতে চান তিনি। পঞ্চায়েত ভোটে বামেরা কতটা ভোট কাটতে পারবে, সেই প্রশ্নও করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
আজ, শনিবার পূর্বাঞ্চলীয় পরিষদের সভায় যোগ দেবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। কথা বলবেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও। তার আগে কলকাতায় এসে বাংলার বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বামদের সম্পর্কে খোঁজ নেওয়ার ঘটনায় বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বলেই দাবি রাজনৈতিক মহলের। যদিও রাতের মুরলীধর সেন লেনের মুখ্য আলোচনা হতে পারত শুভেন্দু বনাম দিলীপের লড়াই। সূত্রের দাবি, বঙ্গ বিজেপির কোন্দল নিয়ে অমিত শাহ কোনও রকম আগ্রহই দেখাননি। বরং বামেদের পাশাপাশি বুথ স্তরে কংগ্রেসের অবস্থান কেমন সেই খোঁজও নেওয়ার চেষ্টা করেছেন তিনি।
এদিন বিমানবন্দর থেকে নিজের গাড়িতেই সুকান্ত ও শুভেন্দুকে নিয়ে মুরলীধর সেন লেনের দলীয় দফতরে এসেছিলেন অমিত শাহ। সবাই ভেবেছিলেন পঞ্চায়েত ভোটের আগে দলীয় কোন্দল মেটাতে বঙ্গ বিজেপির নেতাদের কড়া দাওয়াই দেবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিজেপি নেতা অমিত শাহ। আপাতত তা জল্পনাতেই রয়ে গেল। এদিনের বৈঠকে সুকান্ত ও শুভেন্দু ছাড়া ছিলেন দিলীপ ঘোষও। হাজির ছিলেন বাংলার দায়িত্ব পাওয়া সুনীল বনসল, মঙ্গল পাণ্ডে, অমিত মালব্যরা। এছাড়া ছিলেন বিজেপির পাঁচ সাধারণ সম্পাদক লকেট চট্টোপাধ্যায়, অগ্নিমিত্রা পাল, জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়, জ্যোতির্ময় সিংহ মাহাতো এবং দীপক বর্মণেরা