রাজ্যে সরকারি স্কুলে শিক্ষক নিয়োগে সরকারের বাধা আইনি জট। রবিবার টেটের আগে ফের একথা স্পষ্ট করে দিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তাঁর দাবি, রাজ্যের স্কুলে শিক্ষক নিয়োগ করতে রাজ্য ভীষণ ভাবে আগ্রহী। এমনকী এই ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রী নিজে উদ্যোগী বলেও জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। কিন্তু ইচ্ছা থাকলেও, উপায় নেই বলেই ফের দাবি করেন ব্রাত্য। কারণ, স্বচ্ছ নিয়োগের কোনও অবকাশ দেওয়া হচ্ছে না।
রবিবার রাজ্যে তিন লাখ পরীক্ষার্থী এবার টেটে বসবেন। রাজ্যে এই পরীক্ষা সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন করতে সবরকম ব্যবস্থা নিয়েছে সরকার। রাস্তায় থাকবে অতিরিক্ত যান। বেশি করে মেট্রো চালানো হবে। সকাল ১০টা থেকে খোলা থাকবে বিশেষ কন্ট্রোল রুম। ইতিমধ্যেই পরীক্ষার্থীদের অভিযোগ জানানোর জন্য টেলিফোন নম্বও দেওয়া হয়েছে।
এদিন কলকাতায় তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষের সঙ্গেও দেখা করেন এসএলএসটি-র চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁদের সঙ্গে বৈঠকের পর কুণালের গলাতেও আইনি জটের সুরই শোনা গিয়েছে। এই ব্যাপারে তাঁর অভিযোগ সিপিএমের রাজ্যসভার সাংসদ বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের দিকে। কুণালের অভিযোগ, অহেতুক মামলার জালে ফাঁসিয়ে দেওয়া হয়েছে চাকরিপ্রার্থীদের ভবিষ্যৎ। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য।