আক্ষরিক অর্থেই ম্য়ারাথন। শনিবার সকাল সাড়ে আটটার সময় গার্ডেনরিচের শাহি আস্তাবলের গলিতে ঢুকে ছিল। প্রায় সাড়ে ১৪ ঘণ্টা পেরিয়ে তারা যখন এই গলি ছেড়ে বেরিয়ে গেলেন, তখন সঙ্গে নিয়ে গেলেন ১৭ কোটি ৩২ লক্ষ টাকা। শনিবার রাতে গেমিং অ্যাপে প্রতারণার মামলায় আমির খানের বাড়ি থেকে এই টাকা উদ্ধার হয়েছে বলেই সর্বশেষ জানিয়েছেন ইডির আধিকারিকরা। এছাড়াও আমিরের নিউটাউনের অফিস থেকে আরও কয়েক কোটি নগদ টাকা পাওয়া গিয়েছে বলে ইডি সূত্রে দাবি করা হয়েছে।
ই-নাগেট গেমিং অ্যাপ। এ ভাবেই শহর এবং শহরের বাইরে প্রতারণার জাল বিছিয়েছিল ঘিঞ্জি এই গলির বাসিন্দা আমির খান। তার বাবা নিসার আহমেদ খান, পেশায় পরিবহণ ব্যবসায়ী। শনিবার সকালে কলকাতার বাকি পাঁচটা জায়গার সঙ্গে আমিরের বাড়িতেও হানা দিয়েছিল ইডি। এই ঘটনায় আগেই পলাতক আমির। কারণ, ২০২১ সালে তার বিরুদ্ধে পার্ক স্ট্রিট থানায় এফআইআর হয়েছিল। বাড়ির ভিতরে ঢুকে খাটের তলা থেকে একটার পর একটা প্লাস্টিক প্যাকেট উদ্ধার করেন ইডি কর্তারা। এই প্লাস্টিকের প্যাকেটেই রাখা ছিল যকের ধন। টাকা গুনতে আনা হয় ব্যাঙ্কের মেশিন। আসেন ব্যাঙ্ক কর্মীরাও।
সন্ধ্যে গড়িয়ে রাত হয়ে যায়। তবুও শেষ হয় না টাকা গোনার কাজ। অবশেষে রাত ১১টার কিছু পরে গার্ডেনরিচ ছাড়েন ইডির কর্তারা। সঙ্গে নিয়ে যান ১০টি ট্রাঙ্ক ভর্তি নোটের বান্ডিল। যেখানে ছিল ২০০০, ৫০০, ১০০ এবং ৫০ টাকা। একটা সময় ট্রাঙ্ক ভরে যায়, কিন্তু নোটের বান্ডিল শেষ হয় না। টাকা উদ্ধারের পর আমিরের বাড়ির লোকজনদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করে হয়েছে বলে সূত্রের খবর। তবে এই বিপুল পরিমাণ টাকা কোথা থেকে এল, তা খতিয়ে দেখবে ইডি। হদিস পাওয়া গিয়েছে বিপুল সম্পত্তিরও।