পুজোর ক'দিন বাইরে খাওয়া-দাওয়া মাস্ট। কিন্তু সন্ধেবেলা ঠাকুর দেখার লাইনের ভিড়ে আর রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার সময় হয় না। এই সময় ভরসা করতে হয় স্ট্রিট ফুডের উপরে। তাই আজ এডিটর-জি খোঁজ দিচ্ছে বিখ্যাত কয়েকটি স্ট্রিট ফুডের দোকানের। যা খিদে মেটানোর পাশাপাশি ঠাকুর দেখার এনার্জি বাড়িয়ে দেবে কয়েকগুণ।
ফুচকা
পুজোর সময় ফুচকা খান না, এমন মানুষের দেখা মেলা ভার। কিন্তু এবার পুজোয় আর যে কোনও দোকান থেকে নয়। ট্রাই করুন শহরের বিখ্যাত ফুকচা গুলির মধ্যে একটি লেক কালীবাড়ির ফুচকা। দক্ষিণ কলকাতায় ঠাকুর দেখতে গেলে খেয়ে দেখতে পারেন লেক কালীবাড়ির দুর্গা পণ্ডিতের বিখ্যাত ফুচকা। শহরের সেরা ফুচকার স্টলগুলির মধ্যে এটি অন্যতম। এই দোকানের আলুর দমের ফুচকা মুখে লেগে থাকার মতো।
মোমো
ঠাকুর দেখতে বেড়িয়ে যে স্ট্রিট ফুড না খেলে একেবারেই চলে না সেটি হল মোমো। আপনি যদি উত্তর কলকাতায় ঠাকুর দেখতে বেরোন তাহলে নিঃসন্দেহে শ্যামবাজারে আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রোডের জনপ্রিয় বাবুলালের মোমো ট্রাই করতে পারেন। বাকি মোমোর পাশাপাশি এই স্টলের ভেটকির মোমোর স্বাদ অতুলনীয়।
মোগলাই
স্ট্রিট ফুড না হলেও পুজোর ভিড়ে পাতে বিখ্যাত দোকানের মোগলাই পেলে কিন্তু মন্দ লাগে না। যদি হাতিবাগান, কাশী বোস লেনের ঠাকুর দেখা মিটলে একটি এগিয়ে একবার ঢুঁ মারতে পারেন ১৯৩১ সালের স্থাপিত দোকান বসন্ত কেবিন থেকে। এখানকার মোগলাই পরোটা, ফিশ ফ্রাই বাঁ কবিরাজি উত্তম কুমার, মান্না দে এমনকি মিঠুন চক্রবর্তীরও একসময় বেশ পছন্দ ছিল।
ফিশফ্রাই
১৯২০ সালে প্রতিষ্ঠিত কলকাতার মিত্র ক্যাফে বিখ্যাত তার ফিশ ফ্রাইয়ের জন্য। উত্তর কলকাতায় ঠাকুর দেখার ফাঁকে এই দোকানের ফিশ ফ্রাই ট্রাই করতে কিন্তু ভুলবেন না। এই দোকানের মাটন চপ, মাটন ব্রেন চপ, ফিশ কবিরাজিও কিন্তু বেশ বিখ্যাত।
এগ রোল
পুজোয় বেরোবেন আর রোল খাবেন না? তা আবার হয় নাকি। পুজোর বাজারে দামে কম অথচ পেট ভরা খাবার হিসেবে এগ রোলের জুড়ি মেলা ভার। দক্ষিণ কলকাতায় ঠাকুর দেখতে গেলে ঢুঁ মারতে পারেন গড়িয়াহাট এমনকি সম্ভবত দক্ষিণ কলকাতারই অন্যতম প্রাচীন এগরোলের দোকান বেদুইন থেকে।