আরজি কর কাণ্ডে প্রতিবাদ, মিছিল, স্লোগানে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে 'শিরদাঁড়া' শব্দটি। চলতি বছরের একাধিক দুর্গাপুজোর থিম হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছিল 'শিরদাঁড়া' থিম। কিন্তু পুজো যতো এগিয়ে আসছে, 'শিরদাঁড়া' মডেল বাতিল হওয়ার খবর আসছে। মূল মণ্ডপ থেকে নাকি সরছে 'শিরদাঁড়া'। কীসের আপত্তি? কারা আপত্তি করছেন?
বেলেঘাটার গান্ধী মাঠ ফ্রেন্ডস সার্কল, কেষ্টপুরের মাস্টারদা স্মৃতি সঙ্ঘ এবং হাওড়ার সাঁতরাগাছি কল্পতরু স্পোর্টিং ক্লাবে পুজোর প্রস্তুতি পর্বে 'শিরদাঁড়া' মডেলের ছবিতে ভরে গিয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়া। কিন্তু, শেষমেশ নাকি সেই শিরদাঁড়ার ঠাই হচ্ছে আবর্জনার স্তূপে। সাঁতরাগাছি কল্পতরু স্পোর্টিং ক্লাব স্পষ্টই জানিয়েছে, শিরদাঁড়ার মডেল বসাতেই মণ্ডপে পুলিশ আসে, তাই সরিয়ে ফেলা হয়েছে ওই মডেল। উদ্যোক্তাদের পুলিশ তলব করেছে বলেও খবর। যদিও পুলিশের তরফে কিছু জানানো হয়নি।
হোক কলরব আন্দোলনের সময়ে ২০১৪ সালে, শ্রীজাতর একটি কবিতার চারটি পংতি জনপ্রিয় হয়েছিল খুব।
“মানুষ থেকেই মানুষ আসে
বিরুদ্ধতার ভিড় বাড়ায়,
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।”
সেই থেকে বিভিন্ন আন্দোলনেই 'শিরদাঁড়া' শব্দটির ব্যবহার হয়ে আসছে।
আরজি করের ঘটনায় লালবাজার অভিযানের সময় জুনিয়র ডাক্তারদের তরফে তৎকালীন পুলিশ কমিশনার বীনিত গোয়েলকে একটি শিরদাঁড়ার মডেল দেওয়া হয়েছিল।
পুজোর আগে বাংলায় লেখা টি শার্টের চল বেড়েছে, তার বেশ কয়েকটিতে লেখা 'শিরদাঁড়া বিক্রি নেই'।
পুজোর থিমেও প্রতীকি প্রতিবাদ হিসেবেই শিরদাঁড়াকে থিম হিসেবে ব্যবহার করতে চাইছিল শহরের একাধিক পুজো কমিটি। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মণ্ডপ থেকে সরছে শিরদাঁড়া।