তাদের গণ জমায়েতে সবাইকে আহ্বাণ। গত কয়েকদিন আগে আরজি কর কাণ্ডে নির্যাতিতার বিচার চেয়ে তাঁদের গণ জমায়েতে যোগ দিতে সমাজের সব স্তরের কাছে এই অনুরোধ রেখেছিলেন ঘটনার প্রতিবাদে আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তাররা। তাঁদের অনুরোধে সাড়া দিয়ে SSKM হাসপাতালের প্রেক্ষাগৃহে হাজির হলেন সবাই। যাঁদের মধ্যে কেউ রিক্সাচালক, কেউ ডেলিভারি বয়। আর সেই সভা থেকেই মহালয়ার দিন মহাসমাবেশের ডাক দেওয়া হল। যেখানে রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় জুনিয়র ডাক্তারদেরই স্তম্ভ বলে দাবি করলেন মণিময় বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো কলকাতার সিনিয়র চিকিৎসকরা।
গত ৯ অগাস্টের ঘটনার পর কেটে গেল ৫০ দিন। কিন্তু আরজি করের ঘটনায় বিচার এখনও অধরা। সেই বিচারের দাবিতেই দেবীপক্ষের দিনেই কলকাতায় ধর্মতলা পর্যন্ত মহামিছিল করতে চলেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের অন্যতম মুখ দেবাশিস হালদার জানিয়েছেন, ওই দিন প্রথম মিছিল করে ধর্মতলায় যাওয়া হবে। তারপর হবে মহাসমাবেশ। ওই দিন দুপুর একটা থেকে এই কর্মসূচি শুরু হবে।
৩০ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টে ফের উঠতে চলেছে আরজি কর শুনানি। তার আগে ২৯ তারিখ পাড়ায় পাড়ায় নির্যাতিতার বিচারের দাবি মিছিল করতে অনুরোধ করেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। দেবাশিস হালদারের দাবি, এই ৫০ দিনে তাঁরা কিছুই পেলেন না। একইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, কোনও সেটিং হয়নি। এখনও তাঁদের শিড়দাঁড়া সোজা রয়েছে।
তবে, আরজি কর নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে সিবিআই যে স্টেটাস রিপোর্ট জমা দিয়েছে, তা সাধারণ মানুষের জানা উচিত ছিল বলে দাবি করেন কলকাতার আর এক সিনিয়র চিকিৎসক দীপ্তেন্দ্র সরকার। কারণ, গত শুনানির দিন এই স্টেটাস রিপোর্ট দেখে বিচলিত বোধ করেছিল প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। তাই বন্ধ খামে এই রিপোর্ট থাকার চেয়ে দীপ্তেন্দ্র সরকার মনে করেন, তা বাইরে এলে রাজ্যের ১০ কোটি মানুষের স্বস্তি হত।