লক্ষ্মীপুজোর আগেই তেতে বাজার। রবিবার পুজো। আর শনিবার বাজারে গিয়ে মগজে কারফিউ বাঙালি মধ্যবিত্তের। সব্জি থেকে ফুল, দাম শুনে আর ব্য়াগ খুলতে ইচ্ছা করছে না। বেগুন, ঢ্য়াঁড়শ, কুমড়ো সবার স্ট্রাইক রেট ৪০। ভোগের খিচুড়িতে ফুল কপি পড়বে কীনা, তা বাজারে দাঁড়িয়েই টস করতে হয়েছে। কারণ, বড় জোড়া ১০০ টাকা, আর ছোট জোড়া ৫০ টাকা। বাঁধাকপিও ৪০ থেকে ৫০ টাকা। এরমধ্য়ে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছে গাজর, সিম, বিনস আর কাঁচা লঙ্কা। তবে সবাইকে ছাপিয়ে লক্ষ্মীপুজোতে ডবল সেঞ্চুরি আদার। প্রতিটি বাজারেই এক কেজি আদা ২০০ থেকে ২২০ টাকা।
অনেক বাড়িতে দস্তুর আছে, কোজাগরীর আরাধনায় জোড়া ইলিশের। মানিকতলা, লেক মার্কেট, গড়িয়াহাটে শনিবার ভাল ইলিশের দাম ছিল ২০০০ থেকে ২৫০০ টাকা। মাঝারি মাপের ইলিশ ১৫০০ থেকে ২০০০ টাকা। এছাড়া রুই, কাতলা , চিংড়িরা সুযোগ বুঝে এদিন রান তুলেছে।
যে প্রতিমার আরাধনায় রবিবাসরীয় সন্ধ্য়ায় শাঁকের ফু পড়বে মধ্যবিত্তের বাড়িতে, সেই লক্ষ্মী ঠাকুরের দাম ২০০ থেকে ৫০০ টাকা। ফলের বাজারে গিয়েও তথৈবচ বাঙালির অবস্থা। শতরানে ব্যাট করছে আপেল। কমলা-মুসম্বি লাগামছাড়া। নাড়ু মনে হয় এবার ছবিতেই দেখতে হবে। কারণ, নারকেল এক পিসের দাম ৬০ টাকা। এছাড়াও পানিফল থেকে বেদনা, দাম শুনলেই বেদনাদায়ক পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে।