কিছু বুঝে ওঠার আগেই প্রদেশে কংগ্রেসে তিনি আজ প্রাক্তন। সোমবারের দিল্লির বৈঠকের পর মঙ্গলবার অবশেষে মুখ খুললেন অধীররঞ্জন চৌধুরী। কংগ্রেস নেতার দাবি, বৈঠক শুরুর আগেই প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি পদ থেকে তাঁকে প্রাক্তন ঘোষণা করে দেন পশ্চিমবঙ্গের ভারপ্রাপ্ত কংগ্রেস নেতা গুলাম মীর। যা তাঁকে হতাশ করেছে বলেও এদিন জানিয়েছেন অধীর। কারণ, এই পদে ইস্তাফা তিনি অনেক আগেই কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাগড়ের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন। খাড়গে তাঁকে আশ্বাস দিয়েছিলেন দিল্লিতে এই ব্যাপারে তাঁর সঙ্গে কথা বলবেন। যদিও অধীর চৌধুরীর জানান, সংসদ চলার কারণে এই সফরে তাঁর সঙ্গে কংগ্রেস সভাপতির দেখা হয়নি। এমনকী, রাহুল গান্ধীর সাক্ষাৎ চেয়েও তিনি পাননি।
রাজনৈতিক মহলের মতে, বাংলায় তৃণমূলের সঙ্গে জোট না হওয়ার জন্য কংগ্রেস হাইকম্যান্ডের একাংশ কার্যত অধীরকেই দায়ী করেছিলেন। দূরত্ব বেড়েছিল দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে। এদিন বহরমপুরের কংগ্রেস নেতা জানিয়েছেন, তাঁকে সামনে রেখে রাজ্যে জোট যে সম্ভব নয়, তা আগেই কংগ্রেস সভাপতিকে জানান তিনি। তবে, দুঃখ কংগ্রেস সভাপতি তাঁর কথা একবার শুনতে চাইলেন না।
১৯৯১ সালে বহরমপুর থেকে প্রথমবারের কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী। তখন তিনি কংগ্রেসের সদস্য নন। ১৯৯৬ সালে রাজ্য বিধানসভায় কংগ্রেসের বিধায়ক। এরপর বহরমপুর এবং অধীর - এই নামটা যেন সমার্থক ছিল এতদিন। ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে বহরমপুরে বদলে গিয়েছে ভোটের ফল। তবে, রাজনৈতিক মহলের দাবি প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি পদে অধীরের প্রাক্তন হওয়ার ঘটনাও তাঁর রাজনৈতিক জীবনের মতোই নজিরবিহীন হয়ে রইল।