রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি অভিযোগ করেছেন, মাইথন এবং পাঞ্চেত জলাধার থেকে প্রায় ৫ লাখ কিউসেক জল ছাড়ার ফলে প্লাবিত হয়েছে বিস্তীর্ণ এলাকা। প্রায় ১৫ বছর পর এমন ভয়াবহ বন্যার সম্মুখীন হয়েছে বাংলা।
কী লিখেছেন মুখ্যমন্ত্রী?
তিনি লিখেছেন, মাইথন এবং পাঞ্চেত জলাধার থেকে অপরিকল্পিতভাবে এবং একতরফাভাবে প্রায় ৫ লাখ কিউসেক জল ছেড়েছে DVC। এর ফলে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলা সম্পূর্ণভাবে জলমগ্ন। এর আগে এই বিপুল পরিমাণ জল ছাড়া হয়নি। যার ফলে ২০০৯ সালের পর এই প্রথম নিম্ন দামোদর এলাকা এইভাবে প্লাবিত হয়েছে। প্রায় ১০০০ বর্গ কিলোমিটার এলাকা সম্পূর্ণভাবে জলের তলায়। প্রায় ৫০ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
ওই চিঠিতেই মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেছেন, শুধু যে সাধারণ মানুষের ক্ষতি হয়েছে এমনটা নয়, ফসল, সরকারি সম্পত্তি, প্রাইভেট অ্য়াসেট, গবাদি পশু এবং প্রচুর বাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, DVC-র জল ছাড়ার ফলে পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, বাঁকুড়া, হাওড়া, হুগলি, পূর্ব মেদিনীপুর ও পশ্চিম মেদিনীপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা ভেসে গিয়েছে। ম্যান মেড বন্যার তত্ত্ব খাড়া করেছেন তিনি।
বিগত কয়েকদিন ধরে টানা বৃষ্টি হয়েছে দক্ষিণবঙ্গে। তার সঙ্গে মাইথন ও পাঞ্চেত জলাধার থেকে ধাপে ধাপে ছাড়া হয়েছে প্রায় ৫ লাখ কিউসেক জল। এর ফলে নিম্ন দামোদর এলাকার বিস্তীর্ণ এলাকা জলে ডুবে গিয়েছে। সবথেকে পরিস্থিতি খারাপ হাওড়ার উদয়নারায়ণপুর, পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল, হুগলির খানাকুলের। কিছু জায়গায় জল প্রায় ১০ থেকে ১২ ফুট পর্যন্ত উঠে গিয়েছে। ভেঙে গিয়েছে একাধিক দোতলা বাড়ি। এমনকি ঘাটাল থানার ভিতরেও প্রায় এক বুক জল। বহু বাঁধ ভেঙে যাওয়ার জল ঢুকেছে অনেক গ্রামে।