আর জি কর ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় ধৃতের পদবি নিয়ে বিভ্রান্ত দূর করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । তিনি এও স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন ধৃত বাংলা নয় বিহারের লোক । বুধবার নবান্নে প্রশাসনিক বৈঠকে আবারও একবার একই প্রসঙ্গ উথ্থাপন করে পুলিশকে সতর্ক করলেন মুখ্যমন্ত্রী । অন্য রাজ্যের বাসিন্দাকে কেন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে রাখা হয়, কেন বাংলার লোককে সেই জায়গা রাখা হবে না, সেই বিষয়ে প্রশ্ন তুলে পুলিশকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ।
নবান্ন সূত্রে খবর, প্রশাসনিক বৈঠকে কলকাতা পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মার উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'আপনারা সব সময় বাইরের লোককে এগিয়ে দেন কেন? এই যে আরজি কর কাণ্ডে যে ধরা পড়েছে সে তো বিহারের লোক । কয়েকদিন আগে হাওড়াতেও একটা বড় ঘটনা ঘটেছে । সেক্ষেত্রেও অভিযুক্তর বাড়ি বিহারে ।" উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগে হাওড়া জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক কিশোরীর শ্লীলতাহানির অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল ল্যাবরেটরি টেকনিশিয়ানকে । হাওড়া ঘটনায় অভিযুক্তও বিহারের বাসিন্দা ।
দিন কয়েক আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্য সরকারের প্রশাসনিক পর্যালোচনা বৈঠকে জানিয়েছিলেন, আর জি কর কাণ্ডে ধৃতের নাম সঞ্জয় রায় নয়, সঞ্জয় রাই । তিনি দাবি করেন, অভিযুক্ত বিহারের বাসিন্দা । একইসঙ্গে হাওড়ার ঘটনাতেও বিহারের লোকই জড়িত বলে জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । এই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বিহারের মানুষদের বার্তা দিয়েছিলেন যে,"যাঁরা বিহারবাসী আছেন,তাঁদের কাছে আমি হাতজোড় করে অনুরোধ করব, আপনাদের আমরা ঘরের লোক বলেই মনে করি। আপনারাও যখন কাজ করেন, তখন মনে করবেন যে এটাও আপনাদের বাড়ি। সেই বাড়িকে সুরক্ষা দেওয়া আপনাদেরই দায়িত্ব।"
মুখ্যমন্ত্রীর বার্তার পরই বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন তোলে বাঙালিদের বঞ্চিত করে বহিরাগতদের চাকরি কেন ও কারা দিচ্ছে ?
বুধবারের প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীও স্পষ্ট করে দিলেন, বাংলার মানুষকেই যেন অগ্রাধিকার দেওয়া হয় । প্রশাসনিক এক কর্তা জানিয়েছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একবারও বলেননি যে বিহার মানে বা বিহারের মানুষ মানেই খারাপ । তিনি বলতে চেয়েছেন, গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় বাংলার মানুষের পরিবর্তে ভিন রাজ্যের বাসিন্দা থাকলে ভাষাগত সমস্যাও হতে পারে ।