অনশন প্রত্যাহারের অনুরোধ জানিয়ে এবার জুনিয়র ডাক্তারদের চিঠি দিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টর্সের তরফ থেকে বিভিন্ন দাবি জানিয়ে বৃহস্পতিবার ইমেইল করা হয়েছিল রাজ্যের মুখ্যসচিবকে। এবার তার জবাবি ইমেলে রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবায় স্বাভাবিকতা ফিরিয়ে আনার জন্য অনশন প্রত্যাহারের অনুরোধ মুখ্যসচিবের। শুক্রবার ধর্মতলায় মহাসমাবেশ করেন জুনিয়র ডাক্তাররা। শনিবার ফের সিজিও কমপ্লেক্স অভিযানও জুনিয়র চিকিৎসকদের। একাদশীতে অরন্ধন কর্মসূচির ডাকও দিয়েছেন তাঁরা। এই আবহেই ফের অনশন প্রত্যাহারের অনুরোধ রাজ্য প্রশাসনের।
স্বাস্থ্যভবনের তরফে শুক্রবার একটি স্ট্যাটাস রিপোর্ট দেওয়া হয়। জুনিয়র ডাক্তাররা যে ১০ দফা দাবি করছেন, সেই তালিকায় বিভিন্ন কাজের খতিয়ান তুলে ধরা হয়েছে। অনশনের জেরে চাপের মুখে পড়েই এই পদক্ষেপ বলে দাবি আন্দোলনকারীদের একাংশের। দেড় পাতার বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, হাসপাতালে নিরাপত্তার স্বার্থে রাজ্যের বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ জুড়ে পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ চলেছে। লেখা হয়, "মোট ৭০৫১টি সিসি ক্যামেরা, ৮৯৩টি নতুন ডিউটি রুম ও ৭৭৮টি ওয়াশরুম তৈরি করা হয়েছে। পাশাপাশি যথাযথ আলো, অ্যালার্ম সিস্টেম ও বায়োমেট্রিক অ্যাক্সেসও রাজ্যের সব হাসপাতালে বসানো হচ্ছে।" রাজ্য সরকার মেডিকেল কলেজগুলিতে এই প্রকল্পের জন্য ১১৩ কোটি টাকারও বেশি বরাদ্দ করেছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যসচিব। আরজি কর ছাড়া অন্য হাসপাতালগুলিতে ৯০ শতাংশ কাজ শেষ। ১৫ অক্টোবরের মধ্যে সব কাজ শেষ হয়ে যাবে বলেও আশাবাদী মুখ্যসচিব। হাসপাতালগুলিতে মহিলাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ১১১৩ জন মহিলা পুলিশকর্মী নিয়োগের কথাও জানিয়েছে মুখ্যসচিব।
গত ২ মাস ধরে আরজি করে চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় উত্তাল রাজ্য। স্বাস্থ্য ব্যবস্থার বেহাল অবস্থাকেও দায়ী করেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। বুধবার রাতে স্বাস্থ্যভবনে বৈঠকে বসেছিলেন আন্দোলনকারীরা। কিন্তু তা ফলপ্রসূ হয়নি বলেই দাবি আন্দোলনকারীদের। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, শুধু মৌখিক আশ্বাস দিয়ে অনশন তোলার কথা বলা হচ্ছে। যদিও এভাবে অনশন উঠবে না বলে স্পষ্ট করে দেন জুনিয়র ডাক্তাররা।