সাঁড়াশি চাপে এবার সন্দীপ ঘোষ। আরজি কর দুর্নীতির তদন্তে সিবিআই নির্দেশের দিনেই, আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষের পলিগ্রাফ টেস্টের অনুমতি দিল আদালত। এদিন কলকাতা হাই কোর্টে আরজি কর দুর্নীতি মামলার তদন্তের শুনানিতে বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ আরজি করের দুর্নীতি নিয়ে সিবিআইকে তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন।
শনিবার সকাল ১০টার মধ্যে এই সংক্রান্ত যাবতীয় নথি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে তুলে দিয়ে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ওই হাসপাতালের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতার আলির দায়ের করা মামলার প্রেক্ষিতে এদিন এই নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। আরজি করের দুর্নীতি নিয়ে এর আগে সিট গঠন করছিল রাজ্য।
ইডি তদন্তের আর্জির প্রেক্ষিতে বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের পর্যবেক্ষণ, একাধিক সংস্থা তদন্ত করলে বিষয়টি জটিল এবং সময়সাপেক্ষ হতে পারে। তাই মূল ঘটনার সঙ্গে ওই হাসপাতালের আর্থিক দুর্নীতির তদন্তও সিবিআই করবে বলে জানিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট।
আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের অন্দরে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে আগাগোড়া সরব হয়েছেন বর্তমানে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপার আখতার আলি। এই ঘটনায় কলকাতা হাই কোর্টে মামলা দায়ের করে তিনি ইডি তদন্তের দাবি জানিয়েছিলেন। তাঁর অভিযোগ, অধ্যক্ষের চেয়ার বসে একের পর এক দুর্নীতিতে জড়িয়েছেন সন্দীপ ঘোষ। ওষুধ পাচার থেকে শুরু করে টাকার বিনিময়ে হাউজ স্টাফ নিয়োগের অভিযোগ তোলা হয়েছে প্রাক্তন অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে।
২০২০ সালে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ করা হয়েছিল সন্দীপ ঘোষ। সেটাই ছিল অধ্যক্ষ পদে তাঁর প্রথম পোস্টিং। এরপর চার বছরে মাত্র একবারের জন্য তাঁকে মুর্শিদাবাদে বদলির কথা জানানো হয়েছিল। কিন্তু তা কার্যকর হয়নি বলেই অভিযোগ করা হয়েছে। কারণ, প্রভাব খাটিয়ে আরজি করেই সন্দীপ ঘোষ রয়ে যান বলেই অভিযোগ করেন আখতার আলি।