তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে, নতুন এক কাকুর সন্ধান পেয়েছিল বাংলা। এই কাকু নাকি হুমকি দিয়েছিলেন, দ্রুত ময়না তদন্ত শেষ না হলে আরজি করে রক্তগঙ্গা বইয়ে দেবেন। সেই কাকুর নাম সঞ্জীব মুখোপাধ্যায়। যিনি সোদপুরের বাসিন্দা। আর ওই চিকিৎসকের নাম অপূর্ব বিশ্বাস। যিনি হাসপাতালে নিহত মহিলা চিকিৎসকের ময়না তদন্তের দায়িত্বে ছিলেন। সেই অপূর্ব বিশ্বাসকে ফের সিজিওতে ডেকে পাঠাল সিবিআই। এই নিয়ে আরজি করের ঘটনার তদন্তে পর পর তিনদিন সিবিআইয়ের ডাকা সাড়া দিলেন অপূর্ব।
গত রবিবার সিজিওতে থেকে বেরিয়ে আরজি করে রক্তগঙ্গা বইয়ে দেওয়ার অভিযোগ করেছিলেন অপূর্ব। তিনি দাবি করেছিলেন, গত ৯ অগাস্টের দিন নির্যাতিতার ময়নাতদন্তের সময় এই হুমকি দিয়েছিলেন তাঁর সম্পর্কের এক কাকু। পরে যানা যায়, ওই কাকুর নাম সঞ্জীব মুখোপাধ্যায়। যিনি একসময় পানিহাটি পুরসভার সিপিএমের কাউন্সিলর ছিলেন। বর্তমানে তৃণমূলের নেতা।
যদিও অপূর্ব বিশ্বাসের এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন সঞ্জীব মুখোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছেন, ওই দিন আরজি করে দাঁড়িয়ে এমন কোনও কথা তিনি বলেননি। বরং সেইসময় তিনি ব্যস্ত ছিলেন নিযার্তিতার পরিবারকে সামলাতে। এই সঞ্জীবের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, শশ্মানে নির্যাতিতার পরিবারের হয়ে সই করার। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর তোলা এই অভিযোগ স্বীকার করেছেন সঞ্জীব মুখোপাধ্যায়। তাঁর পাল্টা দাবি, শশ্মানযাত্রী হিসাবে ওই দিন তিনি এই কাজ করেছেন। আর এটা স্বাভাবিক বলেই দাবি করেছেন তিনি।
সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, ময়নাতদন্ত নিয়ে যে অভিযোগ উঠেছে, তা বিস্তারিত জানতেই অপূর্ব বিশ্বাসকে ফের ডাকা হয়েছে। মূলত, ওই সময় ঠিক কী হয়েছিল ? কারা ছিলেন ওই সময়, তা নিয়ে কথা বলতেই এই তলব। এই পরিস্থিতিতে আজ বুধবার আরজি কর তদন্ত মামলায় ফের শিয়ালদহ আদালতে পেশ করা হয়েছে তথ্য প্রমাণ লোপাটের অভিযোগ ধৃত সন্দীপ ঘোষ এবং অভিজিৎ মণ্ডলকে।