আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ ঘনিষ্ঠ তিন চিকিৎসক নেতাকে ফের তলব সিবিআইয়ের। বিরূপাক্ষ বিশ্বাস, অভীক দে ও সৌরভ পালকে সিজিও কমপ্লেক্সে ফের তলব করা হয়েছে। সূত্রের খবর, শনিবার মধ্যরাত পর্যন্ত তিনজনে জেরা করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ফের রবিবার সকালেই তলব করা হয়েছে তাঁদের। পাশাপাশি রবিবার টালা থানার সাব ইন্সপেক্টর চিন্ময় বিশ্বাসকেও ডেকে পাঠিয়েছে সিবিআই।
আরজি করে ডাক্তারি ছাত্রী খুনের ঘটনার পর সেমিনার হলের একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়। যেখানে বিরূপাক্ষ, অভীক, সৌরভকে দেখা যায় বলে অভিযোগ। তদন্তকারী সংস্থার হাতেও বেশ কিছু ছবি এসেছে। শনিবারের পর রবিবারও সন্দীপ ঘনিষ্ঠ এই তিন চিকিৎসক নেতাকে ডেকে তলব করল সিবিআই। জানা গিয়েছে, শনিবার মধ্যরাত পর্যন্ত তিনজনকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরাও করেন তদন্তকারীরা। এই তিন চিকিৎসক নেতার বিরুদ্ধে থ্রেট কালচারের অভিযোগও আছে।
আরজি কর কাণ্ডে মেডিকেল দুর্নীতি নিয়েও একাধিক অভিযোগ প্রকাশ্যে এসেছে। ছাত্রী খুনের মামলার পাশাপাশি আর্থিক অনিয়ম নিয়েও তদন্ত করছে সিবিআইয়ের দুর্নীতি দমন শাখা। সন্দীপ ঘোষ-সহ একাধিক ডাক্তার এই দুর্নীতিতে অভিযুক্ত বলে দাবি। এই তালিকায় অভীক দে-র পাশাপাশি বিরূপাক্ষ বিশ্বাসের নামও জুড়েছে। বর্ধমান মেডিকেল কলেজের প্যাথোলজি বিভাগের সিনিয়র রেসিডেন্স বিরূপাক্ষ চিকিৎসক মহলে বেশ প্রভাবশালী ছিলেন। সন্দীপ ঘোষের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতাও ছিল অনেকটাই বেশি। আবার SSKM-এর পিজিটি অভীক দের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি হাসপাতালে মেডিকেল মাফিয়া চক্র চালান। তার দলবলই সিন্ডিকেট চালায় বলে অভিযোগ। বয়স ও অভিজ্ঞতায় ছোট হলেও তিনি নাকি প্রভাবশালী। সম্প্রতি স্বাস্থ্যভবনে একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে অভীক দে ও বিরূপাক্ষ বিশ্বাসকে সাসপেন্ড করেছে।
শনিবার সকালে ১০টা নাগাদ সিজিও কমপ্লেক্সে আসেন বিরূপাক্ষ বিশ্বাস। দুপুরে হাজিরা দেন অভীক দে। গভীর রাত পর্যন্ত তাঁদের জেরা করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। অন্য় হাসপাতালের চিকিৎসক হয়েও কার নির্দেশে সেদিন আরজি করে এসেছিলেন বিরূপাক্ষ ও অভীকরা, তা খতিয়ে দেখছে সিবিআই। আরজি কর ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় বেশ কিছু ফোন নম্বর ও ছবি হাতে এসেছে সিবিআইয়ের। তার ভিত্তিতেই রবিবার জেরা করতে চান তদন্তকারী আধিকারিকরা।