অল ইন্ডিয়া মেডিক্যাল সায়েন্সেস বা এইমসের চিকিৎসক দিয়ে বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের শারীরিক অবস্থা পরীক্ষা করানো হতে পারে। গরু পাচার তদন্তে এবার এমনটাই ভাবছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই আধিকারিকরা। তবে সূত্রের খবর, দিল্লি নয় কল্যাণীর এইমসের চিকিৎসকরাই হয়তো অনুব্রতে পরীক্ষা করবেন। গত বুধবার সিবিআই দফতরে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল অনুব্রত। কলকাতাতেও এসেছিলেন তিনি। শোনা যায় সিবিআই দফতরে যাওয়ার জন্য তাঁর গাড়িও বেরিয়ে ছিল। কিন্তু মাঝপথে অনুব্রত গাড়ি ঘুরে চলে যায় এসএসকেএম হাসপাতালে। পরে অনুব্রতর আইনজীবীরা দাবি করেন, রাস্তায় অসুস্থ বোধ করায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
কেমন আছেন বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল নেতা তা জানতে এসএসকেএম হাসপাতালকে চিঠি দেয় সিবিআই। সূত্রের দাবি, হাসপাতালের দেওয়া রিপোর্ট দেখে সন্তুষ্ট নন সিবিআই কর্তারা। এমনকী, আলাদা করে শুক্রবার আসানসোল আদালতেও আবেদন করা হয়। সিবিআই সূত্রের খবর, আদালত জানিয়েছে, সরাসরি হাসপাতালের কাছে বিস্তারিত রিপোর্ট চাইতে। হাসপাতাল তাতে রাজি না হলে, একমাত্র তখনই হস্তক্ষেপ করবে আদালত।
হাসপাতালের তরফে প্রাথমিক চিকিৎসার ভিত্তিতে যে রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে, তাতে হৃদযন্ত্র ও শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যার উল্লেখ রয়েছে। ওই রিপোর্ট পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। প্রাথমিক ভাবে চিকিৎসকদের সঙ্গে আলোচনাও হচ্ছে। তদন্তকারীদের একাংশের দাবি, বয়সজনিত ও অন্যান্য কারণে পুরনো অসুখ থাকতেই পারে। কিন্তু তা কোন পর্যায়ে ও কতখানি গুরুতর, তা বিবেচনাধীন। সেই কারণেও এমসের চিকিৎসকদের কথা ভাবা। সিবিআইয়ের অভিযোগ, রাজনীতির কাজ করতে গিয়ে দেখা যাচ্ছে অনুব্রত সাবলীল আছেন। শুধুমাত্র, সিবিআইয়ের তলবের প্রশ্ন উঠলেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।
শুধু এইমসের চিকিৎসকদের দিয়ে অনুব্রত শারীরিক চিকিৎসা নয়, প্রয়োজন পড়লে এই ব্যাপারে এসএসকেএমের চিকিৎসকদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে। চাওয়া হতে পারে অনুব্রত হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সময়কার রিপোর্টও। শুক্রবার বিকেলে আচমকা রক্তচাপ ও সুগারের মাত্রা বেড়ে যায় অনুব্রতের। চিকিৎসকেরা তাঁকে পরীক্ষা করেন। জানা গিয়েছে, বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা একসঙ্গে বৃদ্ধি পাওয়ায় সিটি স্ক্যান, এমআরআই করার পরিকল্পনা আছে।