তাঁদের মেয়েকে বিচার দিতে ব্যর্থ হয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। সোমবার শিয়ালদহ আদলতে আরজি কর মামলার সাজা এই ঘটনায় দোষী সঞ্জয় রায়কে আমৃত্যু কারাবাসের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শিয়ালদহ আদালতের এই রায়ের পরেই এজলাসের মধ্যেই কার্যত ভেঙে পরে নির্যাতিতার পরিবার। অভিযোগ, তাঁদের মেয়েকে বিচার দিতে ব্যর্থ হয়েছে সিবিআই।
শনিবারের পর সোমবারও আদালতে আসার আগে নির্যাতিতার বাবা দাবি করেছিলেন, এই ঘটনায় কমপক্ষে ৫০ জন জড়িত। তাঁদের মেয়ের বিচারের দাবিতে এই ঘটনায় দোষী সঞ্জয় রায়ের ফাঁসির দাবিও তুলেছিলেন তাঁরা। কিন্তু এদিন বেলা পৌনে তিনটে নাগাদ এই ঘটনায় সাজা শোনাতে বসে বিচারত অনিবার্ণ দাস জানিয়েছেন, আরজি করের ঘটনা বিরল থেকে বিরলতম ঘটনা নয়। কারণ, সাজা ঘোষণার আগেই তিনি জানান, সব ঘটনায় ফাঁসির সাজা হবে, এমন কোনও নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের নেই।
নির্যাতিতার মায়ের অভিযোগ, এই ঘটনা বিরল থেকে বিরলতম তা প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছে সিবিআই। আর এই কারণেই বিচারক সঞ্জয়কে সর্বোচ্চ সাজা দিতে পারেননি। নির্যাতিতার মায়ের প্রশ্ন, তাঁর মেয়ে কর্মরত অবস্থায় ধর্ষিতা হয়ে খুন হয়েছেন, এই ঘটনা বিরল থেকে বিরলতম নয় ? তবে নির্যাতিতার বাবা জানিয়েছেন, তাঁরা এখন বিচার পাননি। সবে একটা ধাপ পেরিয়েছেন মাত্র।
শুধু তৃণমূল-সিপিএম-বিজেপির মতো রাজনৈতিক দলগুলি নয়, আরজি কর মামলার সাজায় খুশি নয় জুনিয়র ডাক্তারদের একাংশ। শিয়ালদহ আদালতের রায়ের পর আসফাকুল্লা নাইয়া জানিয়েছেন, এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে প্রয়োজনে তাঁরা উচ্চ আদালতে যাবেন।