আরজি কর কাণ্ডে আর্থিক বেনিয়মের অভিযোগে গ্রেফতার টিএমসিপি নেতা আশিস পান্ডে। হাসপাতালের হাউজ স্টাফও ছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার তাঁকে দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। জিজ্ঞাসাবাদ চলাকালীন অনেক তথ্যে গরমিল পাওয়া যায়। এরপরই তাঁকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
জানা গিয়েছে, গত ৯ অগাস্ট ঘটনার দিন সকালে আরজি করের জরুরি বিভাগে সেমিনার রুমে দেখা যায় আশিস পান্ডেকে। অভিযোগে এর আগে আরজি কর হাসপাতাল চত্বরে আশিস পান্ডেকে দেখে 'চোর চোর' স্লোগান দেন আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা। সিবিআই সূত্রে খবর, ঘটনার দিন হোটেল বুক করেছিলেন আশিস। আরজি করের দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় তাঁকে তলব করে সিবিআই। জিজ্ঞাসাবাদের পর তথ্যে গরমিল পান সিবিআই আধিকারিকরা। তারপরই আশিস পান্ডেকে গ্রেফতার করে সিবিআই।
আরজি কর মামলায় এখনও পর্যন্ত ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। গত ৯ অগাস্ট আরজি কর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চারতলার সেমিনার হল থেকে এক মহিলা চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয়। ওই রাতেই ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগে সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। পরে কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে মামলার তদন্তভার নেয় সিবিআই।
গত ২১ অগাস্ট সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগের তথ্য ইডির হাতে দেওয়ার আবেদন করে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন আরজি কর মেডিকেল কলেজের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতার আলি। এরপরই রাজ্য সরকারের SIT-র হাত থেকে সিবিআইকে তদন্তভার তুলে দেয় আদালত। আরজি করের প্রাক্তন মেডিকেলের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতার আলিকে তলবও করে সিবিআই। নথি মিলিয়ে দেখা হয়। এরপরই আরজি কর দুর্নীতি নিয়ে তদন্তের গতিপ্রকৃতি বদলে নতুন করে তদন্ত শুরু করে সিবিআই। পরে এই মামলায় প্রমাণ লোপাটের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ-সহ আরও দুজনকে। পাশাপাশি গ্রেফতার হন সন্দীপের দেহরক্ষী আফসার আলি ও হাসপাতালের ভেন্ডর সুমন হাজরা ও বিপ্লব সিংকে। তথ্য প্রমাণ লোপাটের অভিযোগে টালা থানার ওসি অভিজিৎ মন্ডলকেও গ্রেফতার করে সিবিআই।