বুথ ফেরত সমীক্ষাকে মিলিয়ে উত্তর-পূর্বের ত্রিপুরা ও নাগাল্যান্ডে ফের ক্ষমতায় বিজেপি। তার উৎসব হল কলকাতার মুরলীধর সেন লেনে। কিন্তু এ রাজ্যের একমাত্র উপ-নির্বাচনে বিজেপি দুই থেকে কেন তিন নম্বরে নেমে গেল, তা নিয়ে কার্যত মুখে কুলুপ বঙ্গ বিজেপির কর্তাদের। খবু বেশি কিছু আশা করার নেই। সাগরদিঘির ফল নিয়ে আগেই নিজের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বৃহস্পতিবার ইভিএম খুলতে তা বাস্তব হল। তবুও আগাম হোলির ছবি দেখা গেল কলকাতায় বিজেপির দফতরে।
তৃণমূলে থাকার সময় এই মুর্শিদাবাদের দায়িত্বে ছিলেন বর্তমানে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর নেতৃত্বেই এবার সাগরদিঘিতে উপনির্বাচনে লড়াই করেছিল বিজেপি। গতবারের প্রার্থী মাফুজা খাতুনের জায়গায় এবার দিলীপ সাহার উপর আস্থা দেখিয়ে ছিলেন গেরুয়া নেতারা। রাজনৈতিক মহলের দাবি, বঙ্গ রাজনীতিতে অন্যতম কোটিপতি এই প্রার্থী ডোবাল বিজেপিকে।
একইসঙ্গে ওয়াকিবহাল মহলের মতে, বাংলায় বিজেপির নামে যে হাওয়া উঠছিল, তা এখনও অনেকটাই নেই। যদিও বারবার কলকাতায় এসে ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে কর্মীদের সামনে ২৫ আসন জয়ের টার্গেট বেধে দিয়েছেন জেপি নাড্ডা, অমিত শাহরা। ইতিমধ্যেই সাগরদিঘির ফল থেকে শিক্ষা নেওয়া হবে বলেই দাবি তৃণমূল কংগ্রেসের। কিন্তু দুই থেকে তিন নম্বর হওয়া বিজেপি কিন্তু এখন চুপ।