মঙ্গলবার গোয়া থেকে ইউটিউবার রোদ্দুর রায়কে (Roddur Roy) গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। বিতর্কিত ইউটিউবারের গ্রেফতারিকে সমর্থন রাজ্যের শিল্পীমহলের। তাঁর অশ্লীল মন্তব্য ও মোকসা তত্ত্বের বিরোধিতা করলেন বাংলার সেলেবরাও। প্রতিবাদ করলেন বাংলার ইউটিউবাররাও (Bengal Youtuber)।
রোদ্দুর রায়ের গ্রেফতারির পরই মুখ খোলেন গায়িকা ইমন চক্রবর্তী (Iman Chakraborty)। তিনি বলেন, "রবীন্দ্রনাথের গানের বিকৃতির পরই গ্রেফতার করা উচিত ছিল। কোনও মহিলাকে এমন অশ্লীল ভাষায় সম্বোধন মেনে নেওয়া যায় না।" ইমনের দাবি, পশ্চিমবঙ্গ বলেই হয়তো সাহস দেখাতে পেরেছেন। অন্য কোনও জায়গায় এ সাহস দেখাতে পারতেন না। রোদ্দুর রায়ের ফেসবুক লাইভের বিরোধিতা করেছেন স্বাগতালক্ষ্মী দাশগুপ্তও। তিনি বলেন, "মুখ্যমন্ত্রী বা রবীন্দ্রনাথকে গালিগালাজ করাটা একটা অসুখ। টিউমার যেমন ম্যালিগন্যান্ট হয়ে গিয়ে ক্যানসার ছড়ায়, রোদ্দুর রায়ও তেমন। যতদিন সমাজে থাকবে, সমাজকে বিষিয়ে দেবে। আয়নায় নিজের মুখ দেখার জন্য সুস্থ থাকা আবশ্যক।"
আরও পড়ুন: প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ মামলাতেও সিবিআই, নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের
রোদ্দুর রায়ের কদর্য ভাষায় ফেসবুক লাইভের বিরোধিতা করেছেন গায়ক মনোময় ভট্টাচার্যও। তিনি বলেন, "রবীন্দ্র সঙ্গীত নিয়ে যে ভাষা ব্যবহার করেছেন রোদ্দুর রায়, তা নির্দ্বিধায় অপরাধ। এই ধরনের ভাষার ব্যবহার অন্যায়।"
এদিকে বাংলার ইউটিউব ক্রিয়েটররাও রোদ্দুর রায়ের গ্রেফতারি নিয়ে মুখ খুলেছেন। বাঁকুড়া মিমস চ্যানেলের উন্মেষ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, "সব মাত্রা ছাড়িয়ে গিয়েছেন রোদ্দুর রায়। সমাজকে বার্তা দিতে চান, ভাল কথা। সেটা একটা ন্যূনতম ভদ্র ভাষায় দেওয়া উচিত। ইউটিউব একটি কম্পানি। সেই কম্পানির নির্দিষ্ট গাইডলাইন আছে। এটা স্বাধীন প্ল্যাটফর্ম। রোদ্দুর রায় ভেবেছিলেন, স্বাধীন প্ল্যাটফর্ম যা খুশি তাই করতে পারি। কিন্তু যাকে তাকে নোংরা গালিগালাজ করা যায় না।" রোদ্দুর রায়ের গ্রেফতারি নিয়ে মুখ খুলেছেন স্যান্ডি সাহাও। তিনি বলেন, "ওর মুখের ভাষা শুনেছেন। নামটা মুখে আনতেও লজ্জা লাগে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে যে কথা বলেছে, তা লজ্জাজনক শুধু নয়, কোনও মহিলা সম্পর্কে ওই কথা বলা যায়?" প্রতিবাদ করেছেন বাংলার আরও এক ইউটিউবার ঝিলম গুপ্তও। তিনি বলেন, "রোদ্দুর রায়ের ভিডিয়োর ভাষা একান্তই তাঁর ব্যক্তিগত। তবে কাউকে খুন করার থেকে চারটে খিস্তি দেওয়া অনেক ভালো। আমি নিজে যে ভিডিয়ো ক্রিয়েট করি, তাতে খিস্তি থাকে না। গালিগালাজ দিয়েও আপলোড করি না। গালাগালি দিয়ে সাবস্ক্রাইবার বাড়ানোতেও বিশ্বাসী নই। ভিডিয়ো আপলোড করার আগে কিছু নৈতিকতা মেনে চলা উচিত।"