প্রায় দুমাস কেটে গেলেও RG কর কাণ্ড নিয়ে এখনও উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। যার রেশ গিয়ে পড়েছে রাজধানী দিল্লিতেও। সেখানেও একাধিক রাজনৈতিক এবং চিকিৎসকদের সংগঠন বিক্ষোভ দেখিয়েছিল। আর এই আবহে কৌশলী সিদ্ধান্ত নিল গেরুয়া শিবির। কোনও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবার পুজো উদ্বোধন করতে আসবেন না রাজ্যে।
BJP সূত্রে খবর, শুধু কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা নন কোনও কেন্দ্রীয় নেতাও পুজো উদ্বোধনে অংশ নিতে পারবেন না। তবে এক্ষেত্রে ছাড় পেয়েছেন দুজন। BJP-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফে জানানো হয়েছে এই দুজন পুজো উদ্বোধন করতে পারবেন। পাশাপাশি ছাড় দেওয়া হয়েছে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফেই এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এদিকে গতবছর সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার দুর্গাপুজোর উদ্বোধন করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। রাম মন্দিরের আদলে মণ্ডপ তৈরি করা হয়েছিল। এবারও প্রথমের দিকে শোনা গিয়েছিল ওই পুজো মণ্ডপ উদ্বোধন করতে পারেন BJP রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জে পি নাড্ডা পুজোর উদ্বোধন করতে পারেন। কিন্তু RG কর কাণ্ডের জেরে সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হয়নি।
এবিষয়ে বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষ জানিয়েছেন, RG কর হাসপাতালে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার প্রতিবাদে এবার কোনও উদ্বোধন পর্ব রাখা হচ্ছে না। বৃহস্পতিবার সরাসরি দর্শনার্থীদের জন্য মণ্ডপ খুলে দেওয়া হবে।
অন্যদিকে পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি শহরে দুর্গাপুজোর আয়োজন করে নান্দনিক ক্লাব। কোনও কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে দিয়ে ওই ক্লাবের পুজো উদ্বোধন করার জন্য সাংসদ সৌমেন্দু অধিকারীকে অনুরোধ করেছিলেন ক্লাব কর্তারা। কিন্তু সৌমেন্দু জানিয়ে দিয়েছেন, কোনও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পুজো উদ্বোধনে অংশ নেবেন না।
রাজনৈতিক মহলের ধারণা BJP-র এই সিদ্ধান্তে জনগনের সমর্থন টানার চেষ্টা করছে গেরুয়া শিবির। একদিকে যেমন RG কর ঘটনার প্রতিবাদ জানানো হল তেমনই আন্দোলনকারীদের পাশেই যে রয়েছে গেরুয়া শিবির তা সুকৌশলে বুঝিয়ে দিল কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।