সিবিআই চেয়ে অনড় হাওড়ার প্রয়াত ছাত্রনেতা আনিশ খানের পরিবার। মঙ্গলবারই কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়ে দিয়েছে, আনিশের মৃত্য়ু তদন্তে সিবিআই নয়, আদালতের আস্থা আছে রাজ্য় পুলিশের উপরেই। এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যাচ্ছে আনিশের পরিবার। আনিশের বাবা সালেম খানের অভিযোগ, সিটের তদন্তে আস্থা নেই তাঁদের। কারণ অনেক সময় কেটে গিয়েছে। এবার তাঁদের আশঙ্কা তথ্যপ্রমাণ লোপাটের। আনিশের দাদার অভিযোগ, তদন্ত ভুয়ো করেছে সিট। তার কারণ, গত দু বছর আনিশ কী করেছিলেন, সেই রিপোর্ট এখনও দেওয়া হয়নি পরিবারকে। হাওড়ার ছাত্র নেতা আনিশ খানের মৃত্যুর পর থেকেই সিবিআই তদন্তের দাবিতে অনড় তার পরিবার।
আনিশ মামলায় মঙ্গলবার খারিজ হয়েছে সিবিআইয়ের দাবি। এই মামলার রায়ে রাজ্য় পুলিশের সিটের উপরেই আস্থা রাখেছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার। ছাত্র নেতার মৃত্যুর পর থেকেই এই ঘটনায় সিবিআই দাবি তুলেছিল, তাঁর পরিবার থেকে রাজ্য়ের সবকটি বিরোধী দল। তাদের সেই আবেদন এদিন আদালতে ধাক্কা খায়। প্রায় চার মাস পর এই মামলার রায় এদিন ঘোষণা করা হল। এদিন বিচারপতি জানান, সিবিআই তদন্তের প্রয়োজন নেই, রাজ্য পুলিশের সিট-ই তদন্ত করবে। আনিশের ঘটনায় সিটকে চার্জশিট পেশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এদিনের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে ডিভিশন বেঞ্চে যাচ্ছেন আনিশের বাবা।
এই বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে মৃত্য়ু হয়েছিল ছাত্র নেতা আনিশ খানের। যে ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয়েছিল। এমনকী কলকাতা হাইকোর্টেও এই মামলায় পুলিশকে কড়া সমালোচনা করা হয়েছিল।আনিশের বাবা সালেম খানের অভিযোগ, রাজ্য পুলিশের উপর তাঁদের কোনও আস্থা নেই। কিন্তু এদিন যাবতীয় দাবি উড়িয়ে সেই রাজ্য পুলিশের উপরেই আস্থা দেখাল কলকাতা হাই কোর্ট।
এর আগেই রাজ্যের তরফে আদালতকে জানানো হয়েছিল হাওড়ার জগাছার বাসিন্দা আনিশ খানের মৃত্য়ুকে কার্যত দুর্ঘটনা বলা যেতে পারে। রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল এই ব্যাপারে অবশ্য় পুলিশকে কাঠগড়ায় তুলেছিলেন। তাঁর অভিযোগ ছিল, পুলিশের গাফিলতিতেই এই ঘটনা ঘটেছিল।