দেশে নারীদের উপর অত্যাচার অর্মাজনীয়। সম্প্রতি মন কী বাত অনুষ্ঠানে একথাই বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আরজি করের ঘটনাকে সরাসরি উল্লেখ না করলেও, ওয়াকিবহাল মহল মনে করে প্রধানমন্ত্রীর ইঙ্গিত ছিল সেইদিকে। বুধবারই আরজি কর নিয়ে সরাসরি উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। সংবাদসংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছিলেন, অনেক হয়েছে আর নয়।
একদিকে প্রধানমন্ত্রী, অন্যদিকে রাষ্ট্রপতি। এই পরিস্থিতিতে কী এবার আরজি কর নিয়ে অ্যাকশন মোডে যাওয়ার কথা ভাবছে কেন্দ্র ? এই প্রশ্ন উঠছে। কারণ, বৃহস্পতিবারই আরজি করের ঘটনার প্রেক্ষিতে তলব করা হল বাংলার রাজ্যপাল সিভি আনন্দবোসকে। অমিত শাহের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক এই ব্যাপারে রাজ্যপালের থেকে রিপোর্ট তলব করেছে।
আগামী মঙ্গলবার রাজ্য বিধানসভায় ধর্ষণবিরোধী বিল আনতে চলেছে রাজ্য। এই বিল পেশের আগেই রাজ্যপালের স্বদিচ্ছা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবুও, বিল যে আসবে, তা বুধবার স্পষ্ট করে দেন মুখ্যমন্ত্রী। তার আগে বৃহস্পতিবার আরজি করের ঘটনা নিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেন বিজেপি প্রতিনিধিরা।
সুকান্ত মজুমদার, দিলীপ ঘোষেরা অভিযোগ করেন মুখ্যমন্ত্রীর ফোঁস মন্তব্য নিয়েও। পরে রাজভবন থেকে বেরিয়ে রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার জানান, আরজি করের ঘটনা নিয়ে এখনও পর্যন্ত যা হয়েছে, তা তাঁরা রাজ্যপালকে জানিয়েছেন। অভিযোগ করেছেন, রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং মুখ্যমন্ত্রীর হুমকি দেওয়ার ইস্যু নিয়েও।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার নিজের টুইটে ফোঁস মন্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর হুঁশিয়ারি জুনিয়র ডাক্তারদের দিকে নয়। এই হুঁশিয়ারি বিজেপি বিরুদ্ধে। কারণ, কেন্দ্রীয় সহয়তায় বাংলার উপর অরাজকতা তৈরি করতে চাইছে বিজেপি। আর সেই কারণে, তিনি কর্মীদের ফোঁস করার বার্তা দিয়েছেন।