আরজি করে চিকিৎসক ছাত্রীর খুন এবং ধর্ষণের ঘটনায় শিউরে উঠেছে গোটা বাংলা। জোরদার হয়েছে শহরে মেয়েদের নিরাপত্তার প্রশ্ন। এমন নারকীয় ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর আরও নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। মেয়েদের সুরক্ষা জোরদার করতে কোমর বাঁধছে লালবাজার। জোর দেওয়া হচ্ছে রাতের শহরে মহিলা নিরাপত্তায়।
মোট ১৮ দফা নির্দেশিকা জারি হয়েছে লালবাজারের তরফে
মহিলা ও শিশুদের ক্ষেত্রে সহানুভূতির সঙ্গে বিবেচনা করে কাজ করতে হবে, ঘটনাস্থলে দ্রুত পৌঁছতে হবে দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ আধিকারিককে, ক্রাইমসিন যত দ্রুত সম্ভব সংরক্ষিত করতে হবে, ঘটনাস্থলের ভিডিয়োগ্রাফি করতেই হবে। সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণ করতে হবে. দ্রুত মামলা গ্রহণ করতে হবে। ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে, এমন নানা ছোট ছোট খুঁটিনাটি বিষয়েও জারি করা হয়েছে নির্দেশিকা।
এছাড়াও মামলা সম্পর্কে গোপনীয়তা বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর কর্ত্যবরত কর্মীরা। বিশেষ করে মিডিয়ার কাছে যেন আগে থেকে খবর না বেরিয়ে যায়।
ফেক নিউজ যাচাই, এবং নজরদারি চালানোর ক্ষেত্রে আরও জোর দিতে হবে। প্রয়োজনে সত্য মিথ্যা সম্পর্কে ধারণা পরিষ্কার করতে হবে।
উল্লেখ্য , আরজিকরের পর পুলিশের ভূমিকা নিয়ে বারংবার উঠেছে প্রশ্ন। ভাঙচুরের ঘটনায় ৩ পুলিশ আধিকারিককে সাসপেন্ড করেছে স্বরাষ্ট্রদফতর। বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে কর্তব্যে গাফিলতির প্রমাণ পাওয়ায় ওই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।