রাজ্যের পঞ্চায়েত ভোটে কী শোনা যাবে রাজীবের সিংহগর্জন। ভোটের ঠিক একদিন আগে এই প্রশ্ন এখন রাজনৈতিক মহলের। কারণ, গত বৃহস্পতিবারই রাজ্যে নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহাকে সমালোচনায় বিদ্ধ করেছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। রাজ্যপাল জানিয়েছিলেন, তাঁর নিয়োগ করা নির্বাচন কমিশনার রাজ্যবাসীকে হতাশ করেছেন। পরিসংখ্যান বলছে নিয়োগর পর গত ৩১ দিন কমিশনের কুর্সিতে নরমে-গরমেরই কেটেছে রাজীবের। বিশেষ করে বাহিনী নিয়ে প্রাথমিক ভাবে গোঁ ধরে থাকলেও, আদালতের চাপে সেই অবস্থান থেকে সরতে হয়েছে। তবে ভোটের একদিন আগেও পুরো বাহিনী পায়নি রাজ্য।
অনেক টালবাহানার পর সৌরভ দাশ পরবর্তী রাজ্যের নির্বাচন কমিশনার পদে রাজীব সিনহাকেই নিয়োগ করেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। কিন্তু এই কদিন একাধিক ইস্যুতে রাজভবনের সঙ্গে সংঘাত দেখা দেয় নির্বাচন কমিশনের। বিশেষ করে, পঞ্চায়েতের দিন ঘোষণার পর থেকে রাজ্যে বিরামহীন হিংসার অভিযোগ বিরোধীদের। আর তাতে লাগাম টানতে ব্যর্থ নির্বাচন কমিশন। এই অভিযোগও উঠছে। আদালতও জানিয়েছে, চাপ হলে পদ থেকে রাজীব সিনহা পদত্যাগও করতে পারেন।
এই ঘটনাবলীর মধ্যেই শনিবার রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট। আর এই ভোটে সবার নজর রাজীব সিনহার দিকেই। ইতিমধ্যেই বাহিনী মোতায়েনের কৌশল ঠিক হয়ে গিয়েছে। ঠিক হয়েছে বুথের নিরাপত্তার দায়িত্ব। এই ভোটে হিংসায় লাগাম পড়বে কীনা, সেই দিকেই নজর প্রশাসনিক মহলের।