আরজি করের ঘটনায় বৃহত্তর ষড়যন্ত্র থাকতে পারে। রবিবার শিয়ালদহ আদালতে এই দাবি করেছিল এই ঘটনার তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। আর এই ষড়যন্ত্রে হাসপাতারে প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের সঙ্গে যোগ ছিল টালা থানার তৎকালীন অফিসার ইনচার্জ অভিজিৎ মণ্ডল। আর সেই কারণে এই দু জনকে নিজেদের হেফাজতে চাওয়ার আবেদন করেছিল সিবিআই। সিবিআইয়ের সেই আবেদন মঞ্জুর করেছে আদালত।
কিন্তু কোনও ষড়যন্ত্রের সঙ্গে তাঁর স্বামী জড়িত থাকতে পারেন না। সোমবার পাল্টা এই দাবি করেছেন গ্রেফতার পুলিশ অফিসার অভিজিৎ মণ্ডলের স্ত্রী সঙ্গীতা মণ্ডল। তিনি জানিয়েছেন, তাঁরা দুই কন্যা সন্তানের অভিভাবক। তাঁরা মেয়ের কষ্ট বোঝেন। এদিন অভিজিতের পরিবারের পাশে দাঁড়াতে সার্ভে পার্কে ওই অফিসারের বাড়িতে যান কলকাতার পুলিশের পদস্থ কর্তারা।
কলকাতা পুলিশ এই ঘটনায় অভিজিতের পরিবারের পাশে রয়েছে। কারণ, কলকাতা পুলিশও একটা পরিবার। আর গ্রেফতার অভিজিৎ মণ্ডল সেই পরিবারের একজন সদস্য। রবিবার যখন অভিজিৎকে আদালতে তোলা হয়, তখন সাত জন সাব-ইন্সপেক্টর পদের অফিসার আদালতে উপস্থিত ছিলেন, কিন্তু ছিলেন না কোনও উচ্চপদস্থ কর্মী। ক্ষুব্ধ পুলিশকর্মীদের একাংশ রবিবারই বিষয়টি নিয়ে কলকাতা পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বলে খবর। তার পরেই এই পদক্ষেপ।