আগে মুখে ছিল হালকা দাড়ি-গোঁফ, আর গ্রেফতারির পরেই দেখা গেল সেই মুখে দাড়ি-গোঁফের চিহ্নমাত্র নেই। চুলের ছাঁটও বদলে গিয়েছে অনেকটা। অর্থাৎ, চেহারা বদলের ক্রমাগত চেষ্টা চালানো হয়েছে। হঠাৎ করে দেখলে এই দুই মানুষকে মেলানো খুব একটা সহজ নয়। তাহলে কি চেহারা বদল করেই পুলিশের চোখে ধুলো দেওয়ার চেষ্টা করছিল সত্যেন্দ্র? তবে শেষরক্ষা হল না। লোডশেডিংয়েই কপাল পুড়ল সত্যেন্দ্রর।
জানা গিয়েছে, বাগুইআটি জোড়া খুনের মামলার মূল অভিযুক্ত সত্যেন্দ্র চৌধুরি পুলিশকে ফাঁকি দেওয়ার ছক কষে ফেলেছিল। ট্রেনের টিকিট কেটে অন্য রাজ্যে পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল তার। শুক্রবার সকালেই হাওড়া ষ্টেশন সংলগ্ন বেসরকারী টিকিট কাউন্টারে টিকিট কাটতে যায় সে। কিন্তু শেষ মুহূর্তে কারেন্ট চলে গিয়ে ভন্ডুল হয়ে যায় তাঁর সমস্ত পরিকল্পনা। কারেন্টের জন্য অপেক্ষারত সত্যেন্দ্রকে ধরার অনেকটা সময় পেয়ে যায় পুলিশ।
আরও পড়ুন- Satyendra Chowdhury: মুহূর্তের গাফিলতিতেই ধরা পড়ল সত্যেন্দ্র, কোন পথে অপারেশন? কি জানালো পুলিশ?
এর আগেও হাওড়া স্টেশন চত্বরে এসেছিল সত্যেন্দ্র। শুধু হাওড়াই নয়, মেমারি, ডানকুনি সহ বিভিন্ন এলাকা থেকে মাঝে মধ্য়েই বাগুইআটি কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত সত্যেন্দ্রর লোকেশন পাওয়া গিয়েছিল। কিন্তু কিছুতেই তাকে পাকড়াও করতে পারছিলেন না তদন্তকারী আধিকারিকরা। শেষ পর্যন্ত হাওড়া স্টেশন চত্বরে টিকিট কাটতে এসেই ধরা পড়ে সত্যেন্দ্র। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এই ঘটনার রহস্যভেদ করার চেষ্টা করবেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।