২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের আগে আজ, বৃহস্পতিবার বাংলার নজর উত্তর-পূর্বের দুই রাজ্য ত্রিপুরা এবং মেঘালয়ের দিকে। কারণ, এই দুটি রাজ্যে এবারই প্রথমবার বিধানসভা ভোটে লড়াই করছে তৃণমূল কংগ্রেস। এদিন সকাল আটটা থেকে উত্তর-পূর্বে তিন রাজ্য-সহ বাংলার সাগরদিঘিতে ভোটগণনা। রাজ্যের উপ-নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী শাসক দল। কিন্তু ত্রিপুরা এবং মেঘালয়ে কী হবে, সেই আগ্রহই বাড়ছে। কারণ বুথ ফেরত সমীক্ষার পূর্বাভাস, ত্রিপুয়া ও নাগাল্যান্ডে ফিরছে বিজেপি। মেঘালয়ে দ্বিতীয় শক্তি হতে পারে তৃণমূল।
এই বছরই প্রথম উত্তর-পূর্বের দুই রাজ্য ত্রিপুরা এবং মেঘালয়ে বিধানসভা নির্বাচনে লড়াই করছে বাংলার শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। তাই বৃহস্পতিবার ইভিএম খোলার আগে বাংলার রাজনৈতিক মহলের আগ্রহ এই দুই রাজ্যে তৃণমূলের ফল নিয়ে। গত সোমবার বিভিন্ন জাতীয় সংবাদমাধ্যমের কড়া বুথ ফেরত সমীক্ষা স্বস্তি দিতে পারে বঙ্গের রাজনীতির কারবারিদের। কারণ, এই দুই রাজ্যে শুধু খাতাই খুলছে না তৃণমূল, বরং বুথ ফেরত সমীক্ষায় দাবি করা হচ্ছে, মেঘালয়ে দ্বিতীয় বৃহৎ শক্তি হিসাবে উঠে আসার। ইন্ডিয়া টুডে-অ্যাক্সিস মাই ইন্ডিয়ার বুথ ফেরত সমীক্ষার পূর্বাভাস, ওই রাজ্যে কমবেশি ১১টি আসন পেতে পারে তৃণমূল কংগ্রেস।
আগেই হয়ে গিয়েছিল ত্রিপুরার ভোট। গত সোমবার শেষ হয়েছে মেঘালয় ও নাগাল্যান্ডের ভোটগ্রহণ। তারপরেই বিভিন্ন জাতীয় সংবাদমাধ্যম এবং সমীক্ষা এজেন্সির করা বুথ ফেরত সমীক্ষায় দাবি করা হয়েছে, ত্রিপুরা এবং নাগাল্যান্ডে বইতে চলেছে গেরুয়া ঝড়। তবে ত্রিশঙ্কুর দিকেই হেলে আছে মেঘালয়। বৃহৎ দল হিসাবে এনপিপি এগিয়ে থাকলেও, সরকার গঠনের ক্ষেত্রে তাদের শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। ৬০ আসনের ত্রিপুরায় প্রায় প্রতি বুথ ফেরত সমীক্ষার পূর্বাভাস বিরোধীদের থেকে অনেকটাই এগিয়ে বিজেপি। ভাল ফলের ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে জনজাতী মথার ব্যাপারেও।