আরজি করের ঘটনা নিয়ে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। গত ১৪ অগাস্টের রাতের পর প্রাক-শিক্ষকদিবসের রাতেও কলকাতার রাস্তায় জনতার গর্জনে এই আন্দোলন এখন অন্য মাত্রা পেয়েছে। বর্তমান অবস্থায় দাঁড়িয়ে সামনে এল NCRB-র প্রকাশ করা একটা রিপোর্ট। যেখানে দাবি করা হল, ভারতের মতো দেশে ধর্ষণের কড়া আইন থাকার পরেও ৭০ শতাংশ অভিযুক্ত বেকসুর প্রমাণিত হন প্রমাণের অভাবে।
ওই রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, ভারতে ধর্ষণের ঘটনার হার নিঃসন্দেহে উদ্বেগজনক। তার থেকেও উদ্বেগের এই ধরনের মামলাগুলিতে সাজা পাওয়ার হার। ওই রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, দেশের দেশের প্রতি দেড় হাজার মহিলার মধ্যে অন্তত একজন কোনও না কোনও অপরাধের শিকার।
গার্হস্থ্য হিংসার মামলায় ওই রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, বিচারাধীন রয়েছে ৮,৫২,৫৯৮টি মামলা। তারমধ্যে বিচার শেষ হয়েছে ৪৬,৯৯৬টি। সাজার শতকরা হার ১৭.৭ শতাংশ। শ্লীলতাহানির ঘটনায় এখনও ঝুলে ৫,৪৮,১৫৪ বেশি মামলা। তার মধ্যে বিচার শেষ হয়েছে, ৩১,৪৬৩টি। সেখানে সাজা পেয়েছেন মাত্র ২৬ শতাংশ।
ভারতে শিশুদের উপর যৌন অত্যাচারের ঘটনায় বিচারধীন রয়েছে ২,৬১,৭৬১ মামলা। বিচার শেষ হয়েছে ২৭,৬১৬টি। সাজা হয়েছে মাত্রা ৩২ শতাংশের। ওই রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, ধর্ষণের মামলায় বিচারধীন রয়েছে ১,৯৮,২৮৫ মামলা। তার মধ্যে বিচার শেষ মাত্র ১৮ হাজার ৫১৭টি। সাজা হয়েছে ২৭.৪ শতাংশের।
তবে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় ওই রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, বিচারাধীন ১,৩৩৩ মামলা। বিচার শেষ হয়েছে ৬২টি। সাজার হার শতকরা ৬৯.৪ শতাংশ। ২০২২ সালের পেশ হওয়া রিপোর্টে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে ধর্ষণের চেষ্টা এবং ইভটিজিং মামলাতেও।
ওই রিপোর্টে উল্লেখ দেশে মহিলাদের উপর নির্যাতনের শীর্ষে রয়েছে রাজধানী দিল্লি। এর পরেই রয়েছে হরিয়ানা, রাজস্থান, ওড়িশা, তেলেঙ্গানা। কিন্তু ওই রিপোর্টে পশ্চিমবঙ্গের কোনও উল্লেখ নেই।