মাত্র ৫৭ বছর বয়সে মৃত্যু হল দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন অধ্যাপক জিএন সাইবাবার। বিগত কয়েকদিন ভেন্টিলেশনে ছিলেন সাইবাবা। ইউএপিএ আইনে প্রায় ১০ বছর জেল খাটার পর চলতি বছরের মার্চে সাইবাবাকে বেকসুর মুক্তি দেয় বম্বে হাই কোর্ট। পোলিওর কারণে সাইবাবা ৯০ শতাংশ শারীরিক প্রতিবন্ধী ছিলেন, হুইল চেয়ারেই চলাফেরা করতে হতো তাঁকে।
সাইবাবা-সহ মোট ছ’জনকে মাওবাদীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল, ২০১৭ সালে। মহারাষ্ট্রের নিম্ন আদালত তাঁদের প্রত্যেককে দোষী সাব্যস্ত করে। আত্মগোপন করে থাকা মাওবাদীদের লেখাপড়া শিখিয়ে তাঁদের হিংসায় প্ররোচিত করেছেন সাইবাবা, এমনটা ছিল আদালতের পর্যবেক্ষণ। দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর থেকে নাগপুর সেন্ট্রাল জেলে বন্দি সাইবাবা। বন্দি অবস্থায় জেলে তাঁর সঙ্গে অমানবিক আচরণ করা হয়েছে, অত্যাচার করা হয়েছে, জেল থেকে বেরিয়ে সোচ্চার হন দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন অধ্যাপক।
নিম্ন আদালতের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ২০২২ সালের অক্টোবর মাসে বম্বে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন সাইবাবা। হাই কোর্ট বেকসুর মুক্তি দেয় সাইবাবাকে।